ঢাকাসহ সারা দেশে সাম্প্রতিক লোডশেডিংয়ের কারণে আকাশচুম্বী হয়েছে মোমবাতির চাহিদা। ঘনঘন লোডশেডিং জনসাধারণের ভোগান্তির কারণ হলেও খুলে গেছে মোমবাতি কারিগরদের ভাগ্যের চাকা। এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের মুখে ফুটেছে হাসি।
ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের একটি মোমবাতি কারখানার মালিক হাজী মনির বলেন, সাধারণত ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও উৎসবের সময় মোমবাতির অর্ডার বেশি পাওয়া যায়। যাইহোক, গত কয়েক মাসে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ এবং সময়কাল উভয়ই বৃদ্ধির কারণে মোমবাতির চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই এলাকায় দশটি মোমবাতির কারখানা ছিল, কিন্তু এখন শুধু আমার কারখানাতেই উৎপাদন হচ্ছে। কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির কারণে মোমবাতির দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।’
এখন একটি মোমবাতি ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ৫ টাকায় বিক্রি হতো বলে জানান হাজী মনির।
১৮ জুলাই সরকার দেশব্যাপী এলাকা ভিত্তিক ধারাবাহিক লোডশেডিং কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কারণ দেশ জ্বালানি সংকটের মুখোমুখি হওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় তার সরকার লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন সীমিত করতে বাধ্য হয়েছে। পরিস্থিতি শামাল দিতে দেশবাসীকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত ১১ অক্টোবর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ চলমান বিদ্যুৎ সংকটের সময় জনগণকে ধৈর্য ধরতে আহ্বান জানান। ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশে দৈনিক ৫ থেকে ৬ ঘন্টা লোডশেডিং করছে।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতির জন্য জনগণকে নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী ১৬ অক্টোবর বলেছেন, ঢাকায় চলমান লোডশেডিংয়ের তাৎক্ষণিক কোনও সমাধান নেই। কারণ সরকার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণে প্রাথমিকভাবে জ্বালানি আমদানি হ্রাস করেছে।
গতকাল (১৭ অক্টোবর) ঢাকার কিছু এলাকার বাসিন্দারা আট ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থেকেছেন।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: বিশেষজ্ঞ
চুয়াডাঙ্গায় রাতে বৃষ্টি দিনে সূর্যের চোখ রাঙানি, রেকর্ড তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি