ঢাকায় শনিবারের মহাসমাবেশের অনুমতি না পেলেও শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকাল থেকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেছেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকায় আসা বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী নয়াপল্টনের আশপাশের মসজিদে জুমার নামাজে যোগ দেন। এমনকি, তাদের অনেকেই নয়াপল্টনে রাজপথে নামাজ আদায় করেন।
জুমার নামাজ শেষে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে তারা দলীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় বসে পড়েন।
বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে দেখা গেছে বিরোধী দলের অনুসারীদের।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির অনুসারীরা জানান, শনিবার বাধার আশঙ্কায় আগেভাগেই সমাবেশস্থলে আসেন তারা।
সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদক্ষেপ নেওয়ার বার্তা দিতে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চান তারা।
শনিবার দুপুর ২টায় বিএনপির মহাসমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে ১৮ অক্টোবর সরকার পতনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
গত ২১ অক্টোবর দলটি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ে নয়াপল্টনে কর্মসূচি পালন করতে চায় বলে পুলিশ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে চিঠি দেয়।
দলটি বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) জানিয়েছে, তারা নয়াপল্টন ভেন্যুতে মহাসমাবেশ করতে বদ্ধপরিকর।
পরে বুধবার (২৬ অক্টোবর) নয়াপল্টনে বিকল্প ভেন্যু দুটির নাম, সমাবেশের প্রত্যাশিত উপস্থিতির সংখ্যা, এর সময়কাল, কোথায় লাউড স্পিকার বসানো হবে এবং অন্য দলের কেউ উপস্থিত থাকবেন কি না-ইত্যাদি তথ্য চেয়ে ডিএমপি বিএনপির কাছে চিঠি পাঠায়।
এর জবাবে বিএনপিও চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, নয়াপল্টনে সমাবেশ করার সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করায় দলের পক্ষে অন্য কোনো স্থানে সমাবেশের আয়োজন করা সম্ভব নয়।
দলটি আরও বলেছে, ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার মানুষ সমাবেশে অংশ নিতে পারে এবং কর্মসূচি চলাকালীন নয়াপল্টনে অন্য দলের কোনো নেতা-কর্মী সেখানে থাকবে না।
বিএনপি ডিএমপিকে আরও জানিয়েছে, দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হবে এবং অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দলের ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘তারা সংঘাত ও সহিংসতার হুমকি দিচ্ছে। তারা এ দিন (শনিবার) লাঠিসোঁটা বহনের ঘোষণা দেন। তারা (আ.লীগ নেতা) গতকাল (বুধবার) বলেছেন এবং তাদের সাধারণ সম্পাদক কয়েকদিন আগে বলেছেন, এর পরিণতি শাপলা চত্বরের চেয়েও ভয়াবহ হবে। তারা হামলা করার হুমকি দিয়েছেন। এমনকি হামলা করে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার হুমকিও দিচ্ছেন।’
তা সত্ত্বেও স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার পরিকল্পনা নিয়ে তারা এগোচ্ছেন বলে জানান এই বিএনপি নেতা।
ফখরুল আরও জানান, তারা এখনও ডিএমপি থেকে সমাবেশ করার অনুমতি পাননি।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও আশা করি তারা (ডিএমপি) এক্ষেত্রে কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না। তারা মহাসমাবেশের সব ধরনের বাধা দূর করতে সাহায্য করবে।’
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম