শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার সেনেরচর পদ্মা সেতুর নিকটবর্তী একটি ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের ছয় গ্রামের ১০ হাজার মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম একটি বাঁশের সাঁকো।
এই সাঁকো দিয়ে যাতায়াতকারীদের দুর্ভোগ ঘোচাতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ একটি ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু করে।
ছয় মাস আগে ব্রিজ নির্মাণের সময়সীমা শেষ হলেও দৃশ্যমান হয়েছে মাত্র কয়েকটি পিলার। এছাড়া দুই বছর ধরে ব্রিজের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী।
যাতায়াতের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে কৃষক, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ।
এদিকে ব্রিজের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করে ভোগান্তির হাত থেকে এলাকাবাসীকে উদ্ধারের দাবী জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) সূত্র জানায়, ১২ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয় ধরে ৯৫ মিটার দৈর্ঘ্য একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য ২০২০ সালে হামিম ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হয়। কার্যাদেশ অনুযায়ী ২০২২ সালে ব্রিজটি হস্তান্তরের কথা ছিল। পাঁচটি পিলার দৃশ্যমান হলে করোনাকালীন সময়ে ব্রিজের নির্মাণ কাজ কন্ধ করে দেয় ঠিকাদার। কাজ বন্ধের দুই বছর পেরিয়ে যাওয়ায় এলজিইডির পক্ষ থেকে একাধিকবার চিঠি দেয়া হয়েছে ঠিকাদারকে। এখনও পুনরায় ব্রিজের কাজ শুরু হয়নি। তবে খুব শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে বলে দাবি করেছেন জাজিরা উপজেলা প্রকৌশলী।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগীরা জানায়, ছোট কৃষ্ণনগর আকন কান্দি, পশ্চিম সেনের চর হাওলাদার কান্দি, পূর্ব সেনের চর মাদবর কান্দি, পশ্চিম সেনের চর ঢালী কান্দি, ডাগু ঢালী কান্দি, রবজ আলী সিকদার কান্দি ও হাসেমদি মুন্সি কান্দির সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম ছিল একটি বাঁশের সাঁকো। সাঁকো দিয়ে কৃষকের উৎপাদিত ফসল, ব্যবসায়ীদের মালামাল বহন, শিক্ষার্থীসহ ছয় হাজার মানুষের যাতায়াত ছিল। ব্রিজ নির্মানের কথা বলে ২০২০ সাল থেকে সেই সাঁকো ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে।
তিন বছরেও সেখানে ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। বিপাকে পড়েছে কৃষক, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ।
এছাড়া খুব দ্রুত ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
হামিম ইন্টারন্যাশনালের স্বত্ত্বাধিকারী হাবিবুর রহমান ওকু মাদারীপুরে থাকায় তার মতামত প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। ব্রিজের পাশে থাকেন ঠিকাদার গার্ড (চৌকিদার) তোতা মিয়া।
তার সঙ্গে আলাপ কালে তিনি জানায়, ঠিকাদার ও সাইড ঠিকাদার ফোনে তাকে অবগত করেছেন। খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে।
জাজিরা উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইমন মোল্লা বলেন, ব্রিজের প্রকল্প ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমার যোগদানের পূর্বে থেকেই ব্রিজের কাজ বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া ঠিকাদারকে একাধিকবার চিঠি করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই ব্রিজের কাজ শুরু করবে বলে ঠিকাদার জানিয়েছে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি