জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ শনিবার প্রথম দিন টিকা তিন শত শিক্ষার্থীকে ফাইজার টিকা প্রদান করা হবে।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
উদ্বোধনকালে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরতে মুখিয়ে আছে। তাই আমরা অন্তত এক ডোজ টিকা নিশ্চিত করে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে নিয়ে আসবো। আগামী ২৫ অক্টোবর ক্যাম্পাস ও হল খুলে দিচ্ছে তাই চেষ্টা থাকবে এর মধ্যে টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে। প্রথমদিন মাস্টার্স ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হচ্ছে। এরপর পাবেন অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেন বিদেশে পড়াশোনা করতে গিয়ে সমস্যায় না পড়ে তাই আমরা ফাইজারের টিকা দিচ্ছি। যারা এনআইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা পাননি এবং এনআইডি কার্ড ব্যতীত শিক্ষার্থীদের জন্মনিবন্ধন দিয়ে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। বর্তমানে করোনার সংক্রমণ হার কমে গেছে মানে করোনা শেষ হয়ে যায়নি। তাই আমাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। মাস্ক পরিধান করতে হবে। পরিশেষে টিকা কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট সিলেট সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. মো. জাহিদুল ইসলাম, সিলেটের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান উপাচার্য।
টিকা দিতে আসা পরিসংখ্যান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আনিকা আমজুম বলেন, অনেকদিন ধরে টিকার জন্য অপেক্ষা করছি। অবশেষে টিকা নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো। তাই আজ অনেক ভালো লাগছে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোতাহের হোসেন বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইজারের টিকা দিচ্ছে। এটা অত্যন্ত ভালো দিক। কারণ আমরা যারা বাইরে যেতে চাই তাদের বিদেশ গমনে আর সমস্যা হবে না। এটি উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
টিকা কার্যক্রম অনুষ্ঠানে মেডিকেল প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. জহির বিন আলম, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক মো. জহীর উদ্দিন আহমদ, প্রক্টর ড. আলমগীর কবীর, রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ হাবিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি