প্রেমিকের সহযোগীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় জবা (১৭) নামের এক কিশোরীকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে ও পরে গলায় ব্লেড চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে আদালতে এ মামলার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আসামি খলিল উদ্দিন (২০)।
হবিগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. মোক্তাদির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তাহমিনা হকের আদালতে খলিল উদ্দিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তার স্বীকারোক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে পিবিআই জানায়, নবীগঞ্জ উপজেলার খলিল উদ্দিনের সঙ্গে একই উপজেলার বাসিন্দা জবার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এক পর্যায়ে তাদের সম্পর্ক শারীরিক সম্পর্কে গড়ায়। গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে খলিল ওই কিশোরীর সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় খলিল তাঁর বন্ধু গোলাম হোসেনকেও তাঁর সঙ্গে সেখানে নিয়ে যান। এরপর প্রেমিকের বন্ধু গোলাম হোসেন ওই কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন চাইলে, তার সঙ্গে ওই কিশোরীর কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে খলিলও তাঁর বন্ধু গোলাম হোসেনের পক্ষ নেন। খলিল ও গোলাম হোসেনের প্রস্তাব মেনে না নেয়ায় তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে ওই কিশোরীর ওড়না দিয়েই তার হাত বেঁধে ফেলে। এরপর জবাকে ব্লেড দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে তারা।
পিবিআই আরও জানায়, ঘটনার পরদিন ২৮ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে নবীগঞ্জ থানার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। ওই দিনই নিহত কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশের পাশাপাশি পিবিআইও তদন্ত শুরু করে।
পিবিআই পরিদর্শক মোক্তাদির হোসেন বলেন, অবশেষে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে খলিল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার খলিলের দেয়া তথ্য অনুযায়ী গোলাম হোসেনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া হত্যায় ব্যবহৃত ব্লেড,ওড়নাসহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে নবীগঞ্জের খাগাউড়া গ্রামের একটি জমিতে কিশোরীর লাশ পাওয়ার পর রহস্য উদ্ঘাটনে নামে পিবিআই।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি