November 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, April 28th, 2022, 7:45 pm

শিক্ষক হতে চাই না, শিক্ষার্থী হয়ে থাকতে চাই: জয়া

অনলাইন ডেস্ক :

‘পুরস্কারগুলো কখনো চোখের সামনে রাখি না। আমার লজ্জা লাগে। মাঝে মাঝে মনে হয়, সত্যিই আমি সেগুলো পাওয়ার যোগ্য কি না? জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অন্যান্য পুরস্কার মা যখন আঁচল দিয়ে পরিস্কার করেন তখন ভালো লাগে। আমি সারাজীবন শিক্ষার্থী হয়ে থাকতে চাই। শিক্ষক হতে চাই না।’ পুরস্কার প্রাপ্তি প্রসঙ্গে বলছিলেন নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। সমানতালে কাজ করছেন বাংলাদেশ ও কলকাতায়। সম্প্রতি তিনি টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড (বাংলা)-এ সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন ‘বিনিসুতোয়’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য। এর আগে পরপর দুই বার ‘বিজয়া ও রোববার ’ এবং ‘বিসর্জন’ ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রীর সম্মাননা পান তিনি। তার ঝুলিতে আছে চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। আছে সিজেএফবি পারফর্ম্যান্স অ্যাওয়ার্ডসহ অসংখ্য সম্মাননা। বর্তমানে জয়া ডুবে আছেন মুর্তজা অতাশ জমজমের ‘ফেরেশতে’ নিয়ে। ইরানি এ পরিচালকের ছবিতে ঢাকা ও তার আশপাশে গত কয়েকদিন ধরে অভিনয় করেছেন তিনি। ছবিতে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর একটি চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। জয়ার মতে, চরিত্র নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। জেনে গেলে দর্শকের আগ্রহ কমে যাবে। তবে এটি সংগ্রামী ও সাহসী চরিত্র। আমাদের চারপাশে এমন চরিত্র দেখা যায়। আমাদের জীবনের সাথে চরিত্রগুলো মিশে আছে।’ ইরানি পরিচালকের ছবিতে কাজ করতে গিয়ে ভাষাগত সমস্যায় পড়তে হয়েছে জয়াসহ অন্যদের। তবে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে না। একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় কাজ করছেন তারা। জানা গেছে, ছবিটি বাংলা ভাষায় নির্মাণ করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে ইরানি ভাষায় ডাব করা হবে। বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি প্রদর্শন করার পরিকল্পনা আছে সংশ্লিষ্টদের। এ ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু, সুমন ফারুক, শাহেদ আলী প্রমুখ। জয়া বলেন, ‘অভিনয় করার মজাটাই এটা। এক জীবনে বহু জীবন দেখা যায়। বহু জীবন যাপন করা যায়। যে মানুষটা আমি নই, আমাদের জন্য সমাজের নিচু তলার মানুষ, তাদের জীবনটাও দেখতে পাই।’ জয়া আহসান ওয়েব প্ল্যাটফর্মে সে অর্থে কাজ করেননি। যদিও ইন্দ্রনীল চৌধুরীর ‘ভালোবাসার শহর’ শীর্ষক একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ওয়েব প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছিল। সময়ের আলোচিত এ মাধ্যমে কাজ প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। প্রচুর কাজের প্রস্তাব আসে। আসলে পাতে তোলার মতো কিছু পাচ্ছি না।’ নিজে কাজ না করলেও এ মাধ্যমের কাজ দেখেন জয়া। বাংলাদেশের ওটিটি (ওভার দ্য টপ) প্ল্যাটফর্মের কাজ বেশ ভালো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে তার মতে, একটি মানদ- থাকলে বিদ্যমান কমতিগুলো থাকত না। কলকাতার দর্শকও এ দেশের ওয়েব সিরিজের ভক্ত। এ বিষয় উল্লেখ করে জয়া বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের কনটেন্টগুলো ভীষণভাবে চায়। পছন্দ করে।’ কলকাতায় গত কয়েক বছর নিয়মিত কাজ করছেন জয়া। প্রায়ই ওখানে থাকতে হয়। তবে তিনি চেষ্টা করেন পহেলা বৈশাখ ও ঈদ বাংলাদেশে উদ্যাপনের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কলকাতায় একবার ঈদ করে কেঁদেছিলাম মিষ্টি, পোলাও, মাটন খেয়ে। আমি এমন ঈদ নিতে পারব না। পহেলা বৈশাখ ও ঈদ অবশ্যই বাংলাদেশে করতে চাই।