প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বলেছেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাস্তা পারাপারের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের নিজস্ব কর্মী নিয়োগ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘নিরাপদে রাস্তা পারাপারে ট্রাফিক পুলিশ সহায়তা করবে, তবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে এবং তাদের নিজস্ব কর্মীদের সেখানে থাকতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা নিরাপদে রাস্তা পার হতে পারে। আমি মনে করি আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত এই বিষয়ে একটি নির্দেশ জারি করতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) আওতায় নবনির্মিত চারটি প্রকল্পের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
প্রকল্পগুলো হলো ঢাকা বিমানবন্দর মহাসড়কে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন নবনির্মিত পথচারী আন্ডারপাস, সিলেট সিটি বাইপাস-গ্যারিসন লিংক ৪-লেন হাইওয়ে, বালুখালী (কক্সবাজার)-ঘুনধুম (বান্দরবান) বর্ডার লিঙ্ক-রোড এবং রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচরে চেঙ্গী নদীর উপর ৫০০ মিটার দীর্ঘ সেতু।
প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য এবং দুর্ঘটনায় প্রাণহানি রোধে কর্মীদের সড়ক সংলগ্ন পয়েন্টে রাখার নির্দেশ দেয়ার উদ্যোগ নিতে বলেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা অনেক ক্ষেত্রে অন্যের নির্দেশনা মানতে চায় না। যদি স্কুল কর্তৃপক্ষের কেউ থাকে তবে তারা তার নির্দেশাবলী অনুসরণ করবে। প্রতিটি স্কুল তাদের নিজস্ব উদ্যোগ নেবে।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বাসচাপায় কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজীব নিহত হওয়ার চার দিন পর ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই প্রধানমন্ত্রী আন্ডারপাস নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
একই বছরের ১২ আগস্ট শেখ হাসিনা এ আন্ডারপাসের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ওই বছরের ২ আগস্ট দুই শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্য এবং কলেজের অধ্যক্ষ তার সাথে দেখা করার পর ৪ আগস্ট তিনি কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচটি বাস সরবরাহ করেন।
ঢাকা, নানিয়ারচর ও সিলেট সেনানিবাস এলাকা থেকে জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সেনা কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।
সেনাপ্রধান এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং চিফ মেজর জেনারেল ইবনে ফজল শায়েকুজ্জামান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। এই চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম