অনলাইন ডেস্ক :
এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন স্টেডিয়াম বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম। পিচ আর আউটফিল্ড তৈরি করে এ বছরই সেখানে ঘরোয়া লিগের ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা বোর্ডের। স্বপ্নের শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম। এশিয়া তো বটেই ব্যাপকতা আর সৌন্দর্য্যে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম বৃহৎ স্টেডিয়ামের তকমা মিলবে যার। গুরুত্ব বুঝে বিসিবি সভাপতি এ মেয়াদে দায়িত্ব নিয়েই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দ্রুত শেষ হবে কাজ। যদিও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। করোনার কারণে এমনিতেই পিছিয়েছে কার্যক্রম। গোটা প্রক্রিয়া মেনে আগামী অন্তত ৬ মাসের আগে শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না নির্মাণ কাজ। তবে আছে অগ্রগতির খবরও। শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম বলেন, ‘আমরা কনসালটেন্টদের সংক্ষিপ্ত তালিকা করেছি। আশা করছি অতিসত্বর কাজ শুরু করতে পারব।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্টেডিয়ামের আকৃতি হবে কিছুটা বোটের মতো। আর তাই যাদের নিয়োগ দেওয়া হবে তাদের সেই থিম মাথায় রেখেই কাজ করতে হবে।’ স্টেডিয়াম তৈরির কাজ শুরু করা না গেলেও ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে দুটি উইকেট। গেল বছর এই মাঠে প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট করার পরিকল্পনা ছিল বোর্ডের। তবে করোনায় তা বাস্তবায়ন করা না গেলেও এবার এখানে ঘরোয়া লিগ শুরু করতে চায় বিসিবি। মাহবুব আনাম বলেন, ‘আগামী সিজনেই খেলতে পারবো। আমাদের ক্রিকেট মৌসুম অক্টোবরের পর থেকে শুরু হবে। ঢাকা অঞ্চলের কিছু খেলা এখানে খেলার জন্য তৈরি করা হয়েছে। উইকেটও আমরা প্রস্তুত করে ফেলেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ হলো আমরা উইকেট বানিয়ে নিজেদের মতো খেলা চালিয়ে নেব। আর কনসালটেন্টরা তাদের মতো করে স্টেডিয়ামের কাজ এগিয়ে নেবে।’ পূর্ণাঙ্গ কাজ শেষ করতে কমপক্ষে ৪ বছর লাগলেও আগামী দুই বছরের মধ্যে স্টেডিয়াম তৈরির প্রাথমিক লক্ষ্য বাস্তবায়ন কমিটির।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি মোতাবেক মানিকগঞ্জে নির্মিত হতে যাচ্ছে ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি। বছর দুয়েক ধরেই অনানুষ্ঠানিকভাবে চলছিল এ বিষয়ে আলোচনা। মানিকগঞ্জ-পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ডান দিকে পদ্মা রিভারভিউ রিসোর্টের পেছনের একটি জমি বাছাই করা হয়েছে স্টেডিয়াম বানানোর জন্য।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা