April 19, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, October 18th, 2021, 7:54 pm

শিগগিরই স্কুলে ফিরতে পারবে আফগানিস্তানের টিনেজ বালিকারা

অনলাইন ডেস্ক :

শিগগিরই মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলে ফিরতে পারবে আফগানিস্তানের বালিকারা। তালেবান সরকারের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্বারি সাঈদ খোস্তি অনলাইন আল জাজিরাকে বলেছেন, অল্প সময়ের মধ্যে সব স্কুল এবং ইউনিভার্সিটি খুলে দেয়া হবে। ফলে মেয়েরাও স্কুলে ফিরতে পারবে। তবে ঠিক কবে স্কুল খুলবে সেই ঘোষণা শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেবে বলে গত রোববার জানান ক্বারি সাঈদ। উল্লেখ্য, গত ১৫ই আগস্ট তালেবানরা আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দখল নেয়। এর মধ্য দিয়ে সেখানে নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটে। তখন থেকেই তালেবানরা টিনেজ মেয়েদের ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়। বলে, যতক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষার নিরাপদ পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততক্ষণ তারা স্কুলে যেতে পারবে না। তবে ছেলেদের সব ক্লাসের এবং প্রাইমারি পড়ুয়া মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়। টিনেজ মেয়েদের স্কুলের বাইরে রাখার ফলে তালেবানরা তাদের সেই ১৯৯০এর দশকের কট্টরপন্থার শাসনের দিকে ফিরে যাচ্ছে বলে আতঙ্ক দেখা দেয়। তাদের ওই সময়ে মেয়েদের শিক্ষা এবং চাকরি ছিল আইনগতভাবে নিষিদ্ধ। ক্বারি সাঈদ খোস্তি ইঙ্গিত দেন যে, মাধ্যমিক স্কুল পড়-য়া মেয়ে এবং তাদের শিক্ষিকারা খুব শিগগিরই স্কুলে ফিরবেন। রাজধানী কাবুলে আল জাজিরার সাংবাদিক স্টেফানি ডেক্কারকে এসব কথা বলেন তিনি। এরপর রিপোর্টে স্টেফানি বলেছেন, ক্ষমতা দখলের পর তালেবানদের কাছ থেকে এসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। মেয়েরা ক্লাসে ফিরছে। তবে তাতে কিছু সময় লাগছে। তবে তাতে অনেক মেয়েকে মূল্য দিতে হবে। তারা স্কুলে যেতে চায়। পড়ালেখা শুরু করতে চায়। তালেবানদের কাছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এই দাবি পূরণের আহ্বান জানিয়ে আসছে। তারা দাবি তুলেছে, আফগানিস্তানের বালিকা ও নারীদের পড়ালেখা ও কর্মসংস্থানের অধিকার নিশ্চিত করতে। আগস্টে ক্ষমতা দখল করার সময় তালেবানরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বালিকা ও নারীদের অধিকার সমুন্নত রাখবে। কিন্তু তারপরে তাদের কর্মকা- আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্বিগ্ন করে তোলে। কারণ, সরকারি অফিসে কর্মরত নারীদের কাজে ফেরার বিষয়ে মিশ্র সংকেত পাঠায়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারী ও পুরুষদের আলাদা করে শিক্ষাদানের জন্য নির্দেশ দেয়। নারীদের পদ দেয়ার প্রতিশ্রুতি থাকলেও যে মন্ত্রীপরিষদ গঠন করে তাতে কোনো নারীকে রাখা হয়নি। এ মাসের শুরুর দিকে নারীদের অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার জন্য তালেবানদের নিন্দা জানান জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ। তিনি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবিক আইনের অধীনে বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য তালেবানদের প্রতি আহ্বান জানান। গুতেরাঁ বলেন, আফগানিস্তানের নারী ও বালিকাদের জন্য ভেঙে ফেলা প্রতিশ্রুতি, স্বপ্নকে ভেঙে ফেলেছে। নারী ও বালিকাদের প্রয়োজনীয়তা থাকতে হবে মনোযোগের কেন্দ্রে। নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সমালোচনা উঠেছে কাতার ও পাকিস্তান থেকে। এ দুটি দেশ তালেবানদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে। ফলে তাদেরকে তালেবানের মিত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে। তারাই তালেবানদের কর্মকা-ের সমালোচনা করেছে। গত মাসে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তালেবানরা এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যা পশ্চাৎমুখী। বিষয়টি অত্যন্ত হতাশাজনক।