April 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, September 21st, 2022, 8:53 pm

শিবগঞ্জে কৃষি কাজে অল্প সময়ে আওয়ালের কোটিপতির হওয়ার স্বপ্ন পূরণ

জেলা প্রতিনিধি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ (শিবগঞ্জ) :

শিক্ষা জীবন শেষে অল্প পুঁজিতে মাত্র ২ একর জমিতে এক সংগে ৮ ধরনের ফল ও কয়েক ধরনের সবজি উৎপাদনের মাধ্যমে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে কৃষক আওয়ালের। আওয়াল হলো উপজেলার শিবগঞ্জ পৌরসভাধীন পিঠালীটোলা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।সরজমিনে গত শুক্রবার আওয়ালের নিজ ফল বাগানে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি জানান আমি ছোট থেকেই পিতার সাথে কৃষি কাজে অংশ গ্রহনের মাধ্যমে কৃষি কাজ আমার কাছে প্রিয় হয়ে উঠে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ডিপ্লোমায় লেখাপড়া শেষ করে কোন চাকুরীর চেষ্টা না করে কৃষি কাজ করার সিদ্ধান্ত নিই। ছোট থেকেই টেলিভিষণে ও মোবাইলের ইউটিউবে কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান দেখে কিছু শিক্ষা অর্জন করি। তার পরে শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের অফিসে গিয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শরিফুলের নির্দেশমত পৌরসভার উপসহকারী কৃষি অফিসার গোলাম আজম কনকের সাথে আলাপ করি। তিনি কৃষি কাজের মধ্যে বিশেষ করে কয়েকধরনের ফল উৎপাদনে কম খরছে অধিক লাভের আশার আলো দেখান। এ ব্যাপারে তিনি সার্বক্ষনিক আমার পাশে থেকে সব ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন। তার পরামর্শে নিজের জমি না থাকায় পিঠালীটোলা মাঠে শেরাফত মৌজায় গত ২০২১ সালে বাৎসরিক বিঘাপ্রতি ১৩ হাজার টাকা দরে ৬ জমি ১০ বছরের জন্য বর্গা নিয়ে আম সহ ৮রকমের ফলের আবাদ শুরু করি। আগে থেকে জমিওয়ালার লাগানো ৭০ ঝাড় আম গাছে টপ ওয়ার্কিং করে কাটিমন আমের জাত তৈরী করি। মাত্র এক বছরের ব্যবধানেএ মৌসুমেই ৩০মন কাটিমন আম ১০হাজার মন দরে বিক্রীকরে ৩লাখ টাকা পেয়েছি এবং আরো প্রায় ৩৫মন আম গাছে কাটিমন আম এখনো আছে।যা আরো এক মাস পর প্রায় ৪লাখ টাকায় বিক্রী করতে পারবো।কাটিমন আমগুলিকে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বারোমাসি করা হয়েছে। ্বছরে তিনবার মুকুল আসেূ।তবে একবার মুকুল ভেঙ্গে ফেলি।শুরু থেকে এপর্যন্ত প্রায় ৮লাখ টাকা খরচ করেছি। ১০হ বছরে খরচের টার্গেট ধরা হয়েছে ৫০ লাখ টাকা।আয় হবে প্রায় ১ কোটি ৫০লাখ টাকা।খরচ বাদে আমার আয় হবে প্রায় ১ কোটি টাকা।তিনি বলেন আমার বাগানে,মালটা ২‘শ ঝাড়, চায়না কমলা ১‘ ঝাড় পেয়ারা ২১৫ঝাড়,মরিচ ২‘শ ৫০ঝাড় আলু বোখরা( এক ধরনের মসলা)১০ ঝাড়, ড্রাগন ৯‘শ ৫০ঝাড়, বারি-১১ ৮ঝাড়।এ সাত ধরনের ফল থেকে আগামী ৯বছরে ৫০ লাখ টাকা আয়ের টার্গেট ধরা হয়েছে। তাছাড়া বাগানের বেড়ার চর্তুর দিকে ঝিংগা, মিষ্টি কুমড়া, লাউ ওল সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি লাগানো হয়েছে। যা থেকে আমার ও ৭ জন শ্রমিকের সবজি কিনতে হয় না।শুধু তাই পরীক্ষামুলকভাবে ৫কাঠা জমিতে ফিলিাপাইনের আখ লাগানো হয়েছে।আাশা করি সফল হবো এবং আরো জমিতে ফিলিপাইনের আগের চাষ করবো। তিনি আরো বলেন কৃষি কাজের মধ্যে এত লাভ ও আনন্দ তা কেবল যে কৃষি কাজ করে স্ েজানে। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ পৌরসভার উপসহকারী কৃষি অফিসার গোলাম আজম কনক বলেন, আওযাল উপেেজলায় একজন কৃষক যিনি আমার এক জমিতে প্রায় ৮ রকমের ফল ও কয়েক রমকের সবজি উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন।তিনি বলেন বাগানে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার প্রয়োগ করার পরামর্শ দেয়ায় তিনি আরো বেশী ফলপ্রসূ হয়েছে। আমি তার সর্বাত্তক সহযোগিতা করে প ্রমান করবো যে কৃষি কাজের মাধ্যমে শিক্ষিত যুবকেরর স্বাবলম্বী হতে পারেন।শিবগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র কৃষি অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন,শিবগঞ্জে আওযাল একজন ব্যতিক্রম ধর্র্মী কৃষক, যিনি প্রথম একই জমিতে ৮ধরনের ফল ও কয়েক ধরেনর সবর্জি উৎপাদন করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। তিনি আরো বলেন শিবগঞ্জ পৌরসভার উপসহকারী কৃষি অফিসার গোলাম আজম কনকের সহযোগিতায় আওয়াল অদূর ভবিষ্যতে একজন শ্রেষ্ঠ কৃষক ও রপ্পানী কারকে পরিণত হবেন।আমরা তাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রমহান পদকের জন্য মূল্যয়ন করে রেখেছি।