অনলাইন ডেস্ক :
তিন ডিফেন্ডারের ফাঁক দিয়ে রক্ষণচেরা পাস বাড়ালেন মিগেল ফিগেইরা দামাশেনো। অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে বল নিয়ন্ত্রণে নিলেন নুহা মারোং। চট্টগ্রাম আবাহনীর পোস্টের নিচে বিশ্বস্ত দেয়াল হয়ে থাকা সাইফুল ইসলাম পারলেন না এই দফায় আটকাতে। ওই গোলই শেষ পর্যন্ত গড়ে দিল ম্যাচের ভাগ্য। স্বস্তির জয়ে শিরোপা পথে আরেকটু এগিয়ে গেল বসুন্ধরা কিংস। কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) ১-০ গোলে জিতেছে কিংস। ১৯ ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে অস্কার ব্রুসনের দল। এক ম্যাচ কম খেলা আবাহনী ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে। প্রথম লেগে চট্টগ্রামের দলটিকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া কিংস ফিরতি লেগের প্রথমার্ধেও আক্রমণে আধিপত্য করে। অন্যদিকে, নিজেদের ঘর সামলে মাঝে মধ্যে প্রতিপক্ষের রক্ষণে হানা দেওয়ার চেষ্টায় থাকে চট্টগ্রাম আবাহনী। রবিনিয়ো-মিগেল-নুহা মারোংয়ে সাজানো কিংসের আক্রমণভাগের সামনে বাধা হয়ে ছিলেন চট্টগ্রাম আবাহনী গোলরক্ষক সাইফুল। পঞ্চদশ মিনিটে রবিনিয়োর সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে বক্সের ঠিক উপর থেকে বাঁ পায়ে শট নিয়েছিলেন মিগেল, এক হাতে আটকান গোলরক্ষক। একটু পর দুর্ভাগ্য পথ আগলে দাঁড়ায় কিংসের। বাঁ দিক দিয়ে দ্রুত ওঠা ইয়াসিন আরাফাত আলতো টোকায় বল এগিয়ে নিয়ে জোরাল শট নেন, কিন্তু সাইফুলকে ফাঁকি দিলেও বল ক্রসবারে প্রতিহত হয়। ২৩তম মিনিটে নিজেদের প্রথম ভালো সুযোগটি তৈরি করে টানা তিন ম্যাচ হেরে আসা চট্টগ্রাম আবাহনী। ওমিদ পোপালজাইয়ের ক্রসে পিটার থ্যাঙ্কগডের হেড অল্পের জন্য যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে। চার মিনিট পর আরেকটি ভালো সুযোগ নষ্টের হতাশায় পুড়তে হয় কিংসকে। মিগেলের থ্রু পাস ধরে রবিনিয়ো আড়াআড়ি ক্রস বাড়িয়েছিলেন গোলমুখে। ¯্রফে টোকা দেওয়ার কাজটুকু করতে পারেননি মোহাম্মদ ইব্রাহিম। ৩২তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় বন্দরনগরীর দলটি। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা থ্যাঙ্কগড (১৮টি)। তার বদলি নামেন আরাফাত হোসেন। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে রবিনিয়োর শট অল্পের জন্য বদলে পোস্টের বাইরে যায়। এরপর চট্টগ্রাম আবাহনীর ক্যান্ডি অগাস্টিনের দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া শট পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি আনিসুর রহমান জিকোকে। ৫১তম মিনিটে মিগেলের রক্ষণ চেরা পাস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নেওয়া মারোং গোলরক্ষক সাইফুলকে একা পেয়ে যান। তাকে ছিটকে দিয়ে অনায়াসে লক্ষ্যভেদ করেন মারোং। গত এপ্রিলের পর লিগে গোল পেলেন গাম্বিয়ার এই ফরোয়ার্ড। একটু পরই অগাস্টিনের জোরাল শট মাশুক মিয়া জনির মাথায় লাগে। মাঠেই কিছুক্ষণ চিকিৎসা নিয়ে কিংসের এই মিডফিল্ডার খেলায় ফিরলে স্বস্তি ফিরে সমর্থকদের মুখে। ৬৮তম মিনিটে দামাশেনোর লবে রবিনিয়োর ভলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার পর দুই দলের খেলার গতি কিছুটা কমে। শেষ দিকে আবারও জমে ওঠে। ৮৬তম মিনিটে কিংসের মাহাদি খানের কোনাকুণি শট দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে রবিনিয়োর শট শেষ মুহূর্তে পা দিয়ে আটকে ব্যবধান বাড়তে দেননি সাইফুল। ম্যাচজুড়ে দারুণ সব সেভ করেও হারের বিষাদই সঙ্গী তার। ১৯ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে আছে মারুফুল হকের চট্টগ্রাম আবাহনী।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা