November 25, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, January 19th, 2024, 7:49 pm

শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ করলেন মিম

অনলাইন ডেস্ক :

দেশজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। শীতের তীব্রতায় ঘর থেকে বের হওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে। শীতের এই সময় কিভাবে পার করছেন, পাশাপাশি শৈশবের শীতের স্মৃতিচারণা করেছেন অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিমআমার ছোটবেলা কেটেছে তিন জেলায়- ভোলা, কুমিল্লা ও রাজশাহী। কুমিল্লায় তুলনামূলক শীত কম ছিল। তবে ভোলা ও রাজশাহীর শীতের কথা মনে পড়লে এখনো গায়ে কাঁপুনি দেয়। হাড়ভাঙা শীত। ক্লাস সেভেন পর্যন্ত আমি ভোলায় পড়াশোনা করেছি। তখন রাত ৮টা-৯টা বাজলেই আর কাউকে পাওয়া যেত না। সবাই ঘুমিয়ে পড়ত। মা যখন রান্না করতেন আমি চুলার পাশে বসে থাকতাম।

দাদু-দিদারা সকাল ও সন্ধ্যায় আগুন পোহাতেন খড় জ¦ালিয়ে। সেসব দিন খুব মিস করি। এখনকার ছেলেমেয়েরা শীতের প্রভাব তো দেখেইনি। তবে শীতে যেমন কষ্ট পেতাম তেমন আনন্দও ছিল। আমার দিদাদের বাড়িতে ঢেঁকি ছিল। বিকেলবেলা ধান ভেনে নতুন চালের পিঠা তৈরি করতেন দিদা। তেলের পিঠা, রসে ভেজানো পিঠা, কাঁচি পোড়া, কুল পিঠা আরো কত কী! মনে হচ্ছে, এবার গত কয়েক বছরের তুলনায় শীতটা একটু বেশিই পড়েছে। আমি ঢাকায় থাকি, তাই শীতের প্রভাবটা অতটা বুঝিনি। সংবাদে দেখছি উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ খুব কষ্টে আছে। এর মধ্যে খুলনা, কুষ্টিয়াসহ দেশের কয়েক জায়গায় বৃষ্টিও হয়েছে। জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে, বুঝতে পারছি।

এই সময় দেশের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। সবাই যাঁর যাঁর মতো শীতার্তদের পাশে দাঁড়াবেন, এই অনুরোধ থাকল। আমি বরাবরই ত্বকের প্রতি যতœশীল। আমার ত্বক একটু ড্রাই, তাই শীতকালে লোশন লাগতই। এখনো বাইরে গেলে আর কিছু থাক বা না থাক আমার ব্যাগে লিপজেল থাকবেই। একটু পর পর ঠোঁট শুকিয়ে গেলে এসব ব্যবহার করি। এখন তো মানুষ অনেক সচেতন হয়েছে। আমাদের ছোটবেলায় দেখেছি, ত্বকের যতœ সম্পর্কে অনেকেই উদাসীন ছিল। এখন অবশ্য দূর পাড়াগ্রামের মানুষও শীতে নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে।