অনলাইন ডেস্ক :
মুশফিকুর রহিমের দারুণ ভক্ত তৌহিদ হৃদয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথ চলার শুরুটাও হয়েছে মুশফিকের হাতে ক্যাপ নিয়ে। বৃহস্পতিবার প্রিয় ক্রিকেটারের বিপক্ষে হৃদয়কে লড়তেও হলো। ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে মুশফিকের ইনিংসকে ম্লান করে দিয়েছেন শেখ জামালের হৃদয়। মুশফিকের হাফ সেঞ্চুরিতে শেখ জামালকে ২৪৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল প্রাইম ব্যাংক। পরে মুশফিকের ৭৭ রানের ইনিংসটিও বৃথা গেছে হৃদয়ের ৯৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে। তার ব্যাটে ভর করেই ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতেছে শেখ জামাল। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ২৪৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শেখ জামাল ৪৮ রানে হারায় দ্বিতীয় উইকেট। রবিউল ইসলাম রবি ১৮ ও ফজলে মাহমুদ রাব্বি ২ রানের ইনিংস খেলেছেন। তৃতীয় উইকেটে সাইফ হাসান ও তৌহিদ হৃদয় মিলে ৬৫ রানের জুটি গড়েছেন। সাইফ ৮০ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৭০ রানের ইনিংস খেলেছেন। তার পর বাকি পথটুকু অনায়াসেই পাড়ি দিয়েছেন তৌহিদ হৃদয় ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। জয়ের পথে হৃদয় ১১৮ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৯৮ রানে অপরাজিত থেকেছেন। সোহান ৫৯ বলে খেলেছেন ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। তাদের অবিচ্ছিন্ন ১৩৫ রানের জুটিতে ২০ বল আগেই তিন উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শেখ জামাল। আগেই সুপার লিগ নিশ্চিত করা শেখ জামাল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে। ১০ ম্যাচে ৯ জয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট ১৮। এদিকে চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে প্রাইম ব্যাংক খানিকটা পিছিয়ে পড়লেও ইতোমধ্যে সুপার লিগ নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদেরও। প্রাইম ব্যাংকের বোলারদের মধ্যে তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান ও করিম জানাত একটি করে উইকেট নিয়েছেন। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবও ওপেনার প্রান্তিক নওরোজ নাবিলকে হারায় ২৮ রানে। দ্বিতীয় উইকেটে শাহদাত দিপু ও মোহাম্মদ মিঠুন মিলে ৪৩ রানের জুটি গড়েছেন। এরপর ৩ রানের মধ্যে দ্রুত সাজঘরে ফেরেন শাহদাত (১৯) ও মিঠুন (৩৩)। চতুর্থ উইকেটে নাসির ও মুশফিক মিলে ৬৪ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামাল দিয়েছেন। নাসির ৩৪ রানে আউট হলেও মুশফিক পেয়েছেন দলের হয়ে একমাত্র হাফ সেঞ্চুরি। ৫ নম্বরে নেমে এবাদতের বলে বোল্ড হওয়ার আগ পর্যন্ত ৭৫ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় খেলেছেন ৭৭ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস। শেষ দিকে মেহেদী হাসানের ২৮ বলে অপরাজিত ৩০ রানের ইনিংসে দাঁড়িয়ে প্রাইম ব্যাংক ৪৯.১ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৪ রান সংগ্রহ করেছে। শেখ জামালের হয়ে এবাদত হোসেন দারুণ বোলিং করেছেন। ৪১ রান খরচায় তার শিকার ছিল চার উইকেট। পারভেজ, মৃত্যুঞ্জয়, জিয়াউর, আরিফ ও তাইবুলের প্রত্যেকে নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা