ব্রিটিশ অভিবাসন আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বিশেষভাবে আশ্রয় বা সাময়িক আশ্রয়ের জন্য যুক্তরাজ্যে যেতে পারবেন না বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বর্তমানে ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে লন্ডন যেতে পারেন বলে ব্যাপক গুঞ্জনের মধ্যেই যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে এই বিবৃতি এলো।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এনডিটিভিকে বলেন, ‘যাদের সুরক্ষা প্রয়োজন তাদের সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের গর্বিত রেকর্ড রয়েছে। তবে আশ্রয় বা সাময়িক আশ্রয়ের জন্য কাউকে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার কোনো বিধান নেই। যাদের আন্তর্জাতিক সুরক্ষা প্রয়োজন, তাদের প্রথম নিরাপদ দেশে আশ্রয় প্রার্থনা করা উচিত – এটি সুরক্ষার দ্রুততম পথ।’
এসব বিধিনিষেধের পরও শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক আশ্রয় আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে বলে সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে আন্দোলনের মুখে সোমবার(৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। পরে তিনি একটি সামরিক বিমানে ঢাকা থেকে পালিয়ে উত্তর ভারতের প্রদেশে দেশটির বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে অবতরণ করেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সেখানে পৌঁছানোর পর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। খবরে বলা হয়েছে, তিনি বর্তমানে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ‘প্রতিরক্ষামূলক হেফাজতে’ রয়েছেন।
শেখ হাসিনার সঙ্গে রয়েছেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা, যিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিক। তার ভাতিজি টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ লেবার পার্টির সংসদ সদস্য এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ দিল্লিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ককে জটিল করা এড়াতে ভারত ক্ষমতাচ্যুত নেতাকে প্রকাশ্যে সমর্থন দেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম