জেলা প্রতিনিধি, শেরপুর (ঝিনাইগাতী) :
শেরপুরের সীমান্তবর্তী উপজেলা ঝিনাইগাতীতে বন্যহাতির তান্ডবে তছনছ বসতবাড়ি। গত শুক্রবার (০৪ নভেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গুরুচরণ দুধনই গ্রামে দিনমজুর আব্দুল মোতালেবের বাড়িতে ওই তান্ডব চালায়। তিনি স্থানীয় মৃত জানালি শেখের ছেলে।
খবর পেয়ে শনিবার দুপুর ক্ষতিগ্রস্ত বসতবাড়িটি পরিদর্শন করেছেন, উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী বন সংরক্ষক (প্রবি) ও রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম, গজনী বিট কর্মকর্তা মোঃ মকরুল ইসলাম আকন্দ, থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ ফরিদ, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ, কাংশা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান, ইউপি সদস্য মোঃ রহমত উল্লাহ, প্রমুখ।
ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল মোতালেব জানান, গভীর রাতে বন্যহাতির একটি দল আমার বাড়িতে ঢুকে আমার বসত ঘরের বেড়া ভেঙ্গে ফেলে এবং ঘরে থাকা ধান, চাউল খেয়ে সাবার করে দেয়। এছাড়া ঘরে থাকা আলনা, ফ্রিজ, হাঁড়ি-পাতিল, জামা-কাপড়সহ যাবতীয় আসবাবপত্র পা দিয়ে পিষে নষ্ট করে ফেলে। এ সময় জীবন বাঁচাতে ঘরবাড়ি ফেলে অন্যত্রে পালিয়ে যায়। পরে গ্রামবাসীরা এসে মশাঁল জালিয়ে হৈহুল্লর চেচামেচি করে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করে। এতে প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহ ধরে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় খাবারের সন্ধানে বন্যহাতির দল হানা দিচ্ছে। বন্যহাতির দল লোকালয়ে প্রবেশ করে কাঁচা ধান, সবজি, গাছ-পালাসহ মানুষের ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
সহকারী বন সংরক্ষক (প্রবি) ও রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম, প্রতি বছরই ধান কাটার আগ মুহুর্তে বন্যহাতির দল খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে প্রবেশ করে ফসল ও জানমালের ক্ষয়-ক্ষতি করে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে বন বিভাগের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িটি পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত সহযোগিতা করা হবে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি