জেলা প্রতিনিধি, শেরপুর (ঝিনাইগাতী) :
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পুলিশের ওসি পরিচয়ে প্রতারণার সময় আনছার আলী উরফে জাহাঙ্গীর (৪৫) নামে এক ভূয়া পুলিশকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আনছার আলী শেরপুর সদর থানার কুঠুরাকান্দা ছনকান্দা গ্রামের উমেদ আলীর ছেলে। উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের কাংশা বাজার এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার বাদীর সাথে প্রতারণাকালে তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেন ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই ফরিদ আহমেদ।
উল্লেখ্য যে, গত ৬ অক্টোবর বিকেলে কাংশা বাজার এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে ইমান আলী উরফে ফেকাসু (৪৫) নামের একজনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ। দীর্ঘদিন থেকে খাস জমির দখল নিয়ে চলে আসা বিরোধকে কেন্দ্র করে ওই হত্যাকান্ড ঘটে। ঘটনার ২৪ঘন্টার মধ্যেই এজাহার ভূক্ত ৮জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ। নৃশংস ওই হত্যাকান্ডের পর গ্রেফতার এড়াতে অধিকাংশ লোক পলাতক রয়েছেন। ওই মামলার বাদীর বরাতে পুলিশ জানায়, প্রতারক আনছার আলী গত ক’দিন পূর্বে ওই হত্যা মামলার বাদীর বাড়ীতে এসে নিজেকে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার ওসি তদন্ত বলে পরিচয় দেয়। সে আরও দাবী করে, তাকে সিআইডি থেকে তার মামলাটি গোপন তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি একাই অতি গোপনে মামলাটি তদন্ত করবেন। তার বিষয়ে পুলিশসহ কারো কাছে কিছু জানতে নিষেধ করে তার সাথে সব বিষয়ে গোপনে যোগাযোগ রাখতে এবং তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে বলা হয়। ইতিমধ্যে একাধিকবার সে বাদীর বাড়িতে এসে তাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। বুধবার রাতে এসআই ফরিদ আহমেদ মামলার তদন্ত কাজে ওই এলাকায় গিয়ে অপরিচিত প্রতারক আনছার আলীকে অটোতে ঘোরাঘুরি করতে দেখে তাকে চ্যালেঞ্জ করেন। এতেই তার পরিচয় সহ প্রতারণার বিষয়টি বেরিয়ে আসে।
এব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান ভুঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আনছার আলী উরফে জাহাঙ্গীর নামের ওই ব্যক্তি প্রতারণার উদ্দেশ্যে নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার বাদীসহ অপরাপরকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে আসছিল। তাকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
সাইবার আইনের মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে, গ্রেপ্তাররা মুক্তি পাচ্ছেন
সাবেক এমপি সুজনের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ