November 15, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, June 22nd, 2022, 8:41 pm

শেরপুরে প্রাকৃতিক দূর্যোগে কৃষকেরা সংকিত

জেলা প্রতিনিধি, শেরপুর :
শেরপুর জেলার সিংহভাগ লোক কৃষি ফসলের উপর নির্ভরশীল। ধান, পাট ও সবজিসহ নানা জাতের কৃষি ফসল উৎপাদন করে থাকে। এতে নিজেদের চাহিদা পূর্ণ করে বাকী উদ্বৃত্ত ফসল বাজারে বিক্রি করে। অতিরিক্ত উৎপাদিত ফসল ধান-পাট সহ শাক-সবজি বিক্রি করে সংসারের অন্যান্য চাহিদা পূর্ণ করে থাকে। কিন্তু এ বছর দূর্যোগের কারনে ফসলের ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে শেরপুর জেলার দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুক্ষিন হয়েছে। আয়ের উৎস একমাত্র কৃষি ফসল। প্রাকৃৃতিক বৈরী আবহাওয়ার হাওয়ায় এ বছর দুর্যোগপূর্ণ বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুর্ভোগ যেন ছাড়ছেই না। বৈশাখের শুর থেকেই শুর হয় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টি। কয়েক দফা শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। অবশিষ্ট কিছু ধান কৃষকের থাকলেও শ্রমিকের প্রতিদিনের শ্রম মূল্য ১২শ টাকা হিসেবে বোর ধান কাটতে হয়েছে। এতে কৃষকের লাভের পরিবর্তে লোকসান গুনতে হচ্ছে। প্রকৃতির এই বৈরী আবহাওয়ার কারণে অবশিষ্ট ধানগুলো ভালোভাবে সংরক্ষণ করতে পারেনি। ফলে কৃষকরা লোকসানের মুখে পড়ে। বর্তমানে আবারো শুরু হয়েছে দফায় দফায় বন্যা। বর্তমানে আমন মৌসুম শুর হয়েছে। কৃষকের প্রস্তুতি হিসেবে আমন মৌসুমের আমন বীজ (জ¦ালা) বপন করার উপযুক্ত সময় অতিবাহিত হচ্ছে। কিন্তু বন্যার পানির কারণে সকল জমি পানির নিচে তলিয়ে আছে। ফলে আমনের বিজ করার উপযুক্ত সময় পার হয়ে যাচ্ছে। যদি এখন আমন বীজ বপন করা না যায় তাহলে আমন মৌসুমে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাই এবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে আগাম ফসল আমন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। অত্র অঞ্চলের কৃষকরা এমন অবস্থায় হতাশার মধ্যে আছে। উল্লেখ্য বোরো মৌসুমে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবার বর্তমানে চলতি আমন মৌসুম যদি উৎপাদন করতে না পারে। তাহলে কৃষকের মেরুদন্ড ভেঙে যাবে। একদিকে যেমন কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অপরদিকে দেশের উৎপাদনে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেবে। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদারের কাছে আমন মৌসমের পিছিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান বন্যা যদি আর না হয় তাহলে ক্ষতির আশঙ্কা নেই। আর যদি আবারো বন্যা বা অতি বর্ষণ হয় তাহলে আমন ফসল হুমকির মূখে পরতে পারে। উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার মজœুরুল হক এর সাথে কথা হলে তিনি জানান যদি সময় পিছিয়ে যায় তাহলে আগাম জাতের আমন ধানের বীজ(জ্বালা) চারা রুপন করতে হবে। যেহেতু আমন ফসলের বিজ বপনের সময় কিছুটা পিছিয়ে গেছে। তাই অত্র এলাকার কৃষকদের এই পরামর্শ দেন। তহলে আমন ফসল অনেকটাই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে।