জেলা প্রতিনিধি, শেরপুর :
শেরপুরের একটি বেসরকারি স্কুলের টয়লেট থেকে রিমন হাসান নামের এক শিক্ষার্থীর বিবস্ত্র মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের ভীমগঞ্জ এলাকার ড্যাফোডিল প্রিপারেটরি অ্যান্ড হাইস্কুলের একটি টয়লেট থেকে মৃরদেহটি উদ্ধার করা হয়। রিমন পাশের খুনুয়া গ্রামের মোঃ সাগর মিয়ার ছেলে। রিমন হাসান ওই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভ্যানচালক সাগর মিয়া ও মা রশিদা বেগমের চার ছেলের মধ্যে রিমন ছিল দ্বিতীয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সে স্কুলের পরীক্ষায় অংশ নেয়। বিকেলে মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলে বাড়ি গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে আবার বাইরে বের হয় রিমন। সে মাঝে মধ্যেই না বলে নানা বাড়ি গিয়ে থাকতো। তাই রাত পেরিয়ে গেলেও তার বাবা-মা খোঁজ নেননি। আজ শুক্রবার সকালে ড্যাফোডিল প্রিপারেটরি অ্যান্ড হাই স্কুলের নাইট গার্ড শেখ ফরিদ স্কুলের টয়লেটে হাত-মুখ ধুতে গিয়ে বিবস্ত্র ও কাদামাটি মাখা অবস্থায় এক কিশোরের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তিনি স্কুলের পরিচালককে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং রিমনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
নিহতের বাবা-মা জানান, কিছুদিন ধরে পার্শ্ববর্তী একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল রিমনের। সে ওই মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলতো। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট ময়মনসিংহের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, রিমনের শরীরের আঘাতের চিহ্ন থাকায় ধারণা করা হচ্ছে তাকে কোনো আক্রোশ বশতঃ হত্যা করা হয়েছে।
এব্যাপারে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং নিহত কিশোরের পরিবার থেকে থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি