April 26, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, December 14th, 2022, 7:52 pm

শেষ বিকেলে স্বস্তি ফেরালেন তাইজুল-মিরাজ

অনলাইন ডেস্ক :

বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) নিজেদের করে রাখার পথেই ছিলেন ভারতের দুই ব্যাটার চেতেশ^র পূজারা ও শ্রেয়াস আইয়ার। কিন্তু দিনের শেষ ৬ ওভারে দুই উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দিয়েছেন দুই স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজ। পূজারাকে ৯০ রানে থামান তাইজুল। দিনের শেষ বলে অক্ষর প্যাটেলকে ১৪ রানে আউট করেন মিরাজ। পূজারার হাফ-সেঞ্চুরির সাথে আইয়ারের অপরাজিত ৮২ রানে প্রথম দিন শেষে ৯০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৭৮ রান সংগ্রহ করেছে ভারত। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেন ভারতের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। সফরে এই প্রথম টস জিতলো ভারত। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের সবগুলোতেই টস হেরেছিলো টিম ইন্ডিয়া। শুভমান গিলকে নিয়ে ইনিংস শুরু করেন রাহুল। ১৩ ওভারে ৪১ রান সংগ্রহ করেন ভারতের দুই ওপেনার। তবে ১৪তম ওভারে ভারতের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গে বাংলাদেশের স্পিনার তাইজুল ইসলাম। প্যাডল সুইপ করে ইয়াসির আলির দারুন ক্যাচে আউট হন গিল। প্রথম স্লিপ থেকে লেগ স্লিপে দৌঁড় যাওয়া ইয়াসিরের হাতে কট আউট হওয়ার আগে তিন বাউন্ডারিতে ২০ রান করেন গিল। দলীয় ৪১ রানে প্রথম উইকেট পতনের কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশী পেসার খালেদ আহমেদের কল সরাসরি বোল্ড আউট হন রাহুল। তিন বাউন্ডারিতে ২২ রান করেন তিনি। ৪৫ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত। এ অবস্থায় ভারতের চাপ আরও বাড়িয়ে দেন তাইজুল। চার নম্বরে নামা বিরাট কোহলিকে দারুন এক ডেলিভারিতে লেগ বিফোর আউট করেন তিনি। রিভিউ নিয়েও উইকেট বাঁচাতে পারেননি ৫ বলে ১ রান করা কোহলি। ২০ ওভারের মধ্যে ৪৮ রান তুলে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। এ অবস্থায় ক্রিজে এসেই বাংলাদেশ বোলারদের উপর চড়াও হন ঋসভ পান্থ। মধ্যাহ্ন-বিরতির আগ পর্যন্ত ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন পান্থ। পান্থের মারমুখী ব্যাটিংয়ে ৩ উইকেটে ৮৫ রান নিয়ে প্রথম সেশন শেষ করে ভারত। বিরতির পরও মারমুখী ছিলেন পান্থ। ৩০তম ওভারে ভারতের রান ১শ স্পর্শ করে। স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজের করা ৩২তম ওভারের তৃতীয় বলে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারেন পান্থ। পরের বলে ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হন পান্থ। ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৫ বলে ৪৬ রান করেন তিনি। পূজারার সাথে চতুর্থ উইকেটে ৭৩ বলে ৬৪ রান যোগ করেন পান্থ। দলীয় ১১২ রানে পান্থের বিদায়ে ক্রিজে পূজারার সঙ্গী হন শ্রেয়াস আইয়ার। ব্যক্তিগত ৩০ রানে বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের কাছে জীবন পান আইয়ার। পূজারা ও আইয়ারের দাপটে দ্বিতীয় সেশন শেষ করে ভারত। তখন টিম ইন্ডিয়ার রান ৪ উইকেটে ১৭৪। পূজারা ৪২ ও আইয়ার ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন। বিরতির পর টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩৪তম ও বাংলাদেশের বিপক্ষে পঞ্চম হাফ-সেঞ্চুরি করেন পূজারা। পূজারার পর টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ ও বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম অর্ধশতক পূর্ণ করেন আইয়ার। হাফ-সেঞ্চুরির পর নিজেদের ইনিংস বড় করেছেন পূজারা ও আইয়ার। জুটিতে শতরানও পূর্ণ করেন তারা। ৭৬তম ওভারে আবারও ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৬৭ রানে বেঁচে যান আইয়ার। মিরাজের বলে ডিপ মিড উইকেটে আইয়ারের সহজ ক্যাচ ফেলেন এবাদত। ফিল্ডারদের ক্যাচ মিসের কারণে আইয়ার-পূজারার জমে যাওয়া জুটি ভাঙ্গতে ঘাম ঝড়েছে বাংলাদেশের। অবশেষে তাইজুলের হাত ধরে গুরুত্বপূর্ন ব্রেক-থ্রু পায় ভারত। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া বলে ডিফেন্স করতে না পেরে বোল্ড হন পূজারা। ৮৫তম ওভারে ভাঙে পূজারা ও আইয়ারের জুটি। ৩১৭ বল খেলে ১৪৯ রান তুলেন দু’জনে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটির মালিক হলেন পূজারা ও আইয়ার। ১১টি চারে ২০৩ বল খেলে ৯০ রান করেন পূজারা। পূজারার আউটে উইকেটে আসেন অক্ষর প্যাটেল। ২টি চার মেরে ইনিংস মেরামত করছিলেন তিনি। কিন্তু দিনের শেষ বলে মিরাজের বলে লেগ বিফোর আউট হন প্যাটেল। রিভিউ নিয়েও কোন উপকার হয়নি প্যাটেলের। ১৪ রানে থামেন প্যাটেল। অন্যপ্রান্তে ১০টি চারে ১৬৯ বলে ৮২ রান করে অপরাজিত থাকেন আইয়ার। বাংলাদেশের তাইজুল ৮৪ রানে ৩টি, মিরাজ ৭১ রানে ২টি ও খালেদ ২৬ রানে ১টি উইকেট নেন। উইকেট শূন্য ছিলেন এবাদত-সাকিব ও ইয়াসির।