শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ৬ মাসের দণ্ডপ্রাপ্ত মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। সাজা থেকে খালাস চেয়ে করা আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের জামিন দিয়েছেন শ্রম আপিলেট ট্রাইব্যুনাল।
ঢাকার কাকরাইলের দেশের একমাত্র শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়াল এক আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন বলে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, রায় বাতিল ও আসামিদের অভিযোগ থেকে খালাসও চাওয়া হয়েছে আবেদনে।
তিনি আরও বলেন, শুনানি নিয়ে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল আপিল আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে এ মামলার শ্রম আদালতের নথি তলব করেন। একইসঙ্গে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে জামিন দেন।
শ্রম আদালতের দেওয়া ৬ মাসের সাজার রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ রবিবার (২৮ জানুয়ারি) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এর আগে ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ ৪ জনকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ড. ইউনূস গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান। সাজাপ্রাপ্ত অপর ৩ জন হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ ৪ জনকে এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন একই আদালত।
২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর শ্রম ট্রাইব্যুনালে ড. ইউনূসসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। গত বছর ৬ জুন মামলার অভিযোগ গঠিত হয়। ২২ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি এবং লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম