জেলা প্রতিনিধি, শেরপুর (শ্রীবরদী):
শেরপুরের শ্রীবরদীতে বাদামী গাছ ফড়িং এর আক্রমণে ধান খেত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কৃষকদের অভিযোগ এই ফড়িং এর আক্রমণে অল্প সময়ের মধ্যে ধান খেত ঝলসে গেছে। ফড়িং দমনে কীটনাশক ছিটানো হলেও কোন লাভ হয়নি। উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী খাড়ামোড়া গ্রামের প্রায় ১৫ একর জমির ধান খেত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অনেকেই ঝলসে যাওয়া ধান গাছ কেটে নিয়ে গেছে, আবার কেউ কেউে ক্ষোভে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আবাদকৃত ধান ঘরে তুলতে না পেরে পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে ভূক্তভোগী কৃষক। খবর পেয়ে ধান খেত পরিদর্শন করেই দায় এড়িয়েছেন শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি বিভাগ।
এলাকার কৃষক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০-১৫ দিন আগে হঠাৎ করে ধান খেতে বাদামী গাছ ফড়িং (কারেন্ট পোকা) আক্রমণ করে। আক্রমণের ২-৩ দিনের মধ্যে ধান গাছ ঝলসে গিয়ে পুরো ধান ক্ষেত বিনষ্ট হয়ে যায়। বিষয়টি উপজেলা কৃষি অফিসকে জানালে ঘটনাস্থলে যায় উপজেলা কৃষি অফিসার সাবরিনা আফরিন। তিনি গিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি কৃষকের ধান খেত।
কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, আমার ৫৫ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করেছিলাম। ফলনও ভালো হয়েছিলো। কিন্তু হঠাৎ বাদামী গাছ ফড়িং এর আক্রমণে আমাদের সম্পূর্ণ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এতে করে আমরা সর্বশান্ত হয়ে পড়েছি। কৃষক রবিউল বলেন, আমার ৩৫ শতাংশ জমির ধান বিনষ্ট হয়েছে। এতে আমরা পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি সামনের দিনগুলো কিভাবেনকাটাবো। এছাড়ও শাহজামাল ওরফে দহিজল, আব্দুর রহিম, শাহজাহান, সবুজ, সনেট মারাকক, শ্রী উলি কোচ সহ খাড়ামোড়া এলাকার কৃষকদের প্রায় ১৫ একর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা কৃষি অফিসার সাবরিনা আফরিন বলেন, বাদামী গাছ ফড়িং এর আক্রমণে খাড়ামোড়া গ্রামের কৃষকদের ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এই পোকা দলবদ্ধভাবে ধান গাছের গোড়ার দিকে অবস্থান করে গাছ থেকে রস খায়। এ কারণে গাছ দ্রুত শুকিয়ে যায়। এর তীব্র আক্রমণ হলে প্রথমে গাছ হলুদ ও পরে শুকিয়ে যায়, ফলে পুড়ে যাওয়ার মত দেখা যায়। এব্যাপারে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি