জেলা প্রতিনিধি, শেরপুর(শ্রীবরদী) :
রাজধানী ঢাকার ফার্মগেটে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামান তালুকদারের (৪০) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে নয়টায় শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কুরুয়া পশ্চিমপাড়া নিমতলা ঈদগাহ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে মনিরুজ্জামানের লাশ কুরুয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় উপজেলা চেয়ারম্যান এ ডি এম শহিদুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আমিনুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন ছালেম, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুল কাদির, থানার উপপরিদরশক (এসআই) সাইফুল মালেক, কুড়িকাহনীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ খান নূনসহ প্রায় এক হাজার মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। নিহত পুলিশ সদস্য মনিরুজ্জামান শ্রীবরদী উপজেলার কুড়িকাহনীয়া ইউনিয়নের কুরুয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম তালুকদারের ছেলে।তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগে ট্রাফিক কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত শনিবার ভোরে রাজধানীর ফার্মগেটে অজ্ঞাতনামা ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন তিনি।
নিহতের বাবা আবুল কাসেম তালুকদার বলেন, ছেলের অকাল মৃত্যুতে পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে। এখন তাঁর (মনিরুজ্জামান) পরিবার কীভাবে চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রয়োজনীয়
আর্থিক সহায়তার আবেদন জানান তিনি। সেইসঙ্গে তাঁর ছেলের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত বিচার ও সরবোচ্চ শাস্তির দাবি করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মনিরুজ্জামান এসএসসি পাশ করার পর ২০০১ সালে কনস্টেবল হিসেবে পুলিশ বিভাগে যোগ দেন।তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। স্ত্রী রুমি আক্তার গৃহিনী। বড় ছেলে আব্দুল্লাহর বয়স ৪ আর ছোট ছেলে আব্দুর রহমানের বয়স ১ বছর। মনিরুজ্জামানের করমস্থল ঢাকায় হলেও তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান শ্রীবরদী উপজেলার কুরুয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের
বাড়িতে থাকেন।এর আগে শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কুরুয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাড়িতে মনিরুজ্জামানের মরদেহ এসে পৌঁছায়। এ সময় স্বজন ও এলাকাবাসীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি