March 28, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, April 30th, 2023, 12:11 pm

শ্রীবরদীতে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দোকানঘর ভেঙে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি, শেরপুর (শ্রীবরদী):

শেরপুরের শ্রীবরদীতে দিনেদুপুরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পৈতৃক সম্পত্তিতে স্থাপিত দোকান ঘর ভেঙে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ২৯ এপ্রিল শনিবার সকাল ১১টায় শ্রীবরদী উপজেলার গোসাইপুর ইউনিয়নের মাটিয়াকুড়া গাবতলী বাজারে ওই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় প্রভাবশালী একটি গোষ্ঠী ওই জমি দখলের নেতৃত্বে রয়েছে বলে ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করেছে। হামলা ও ভাঙচুরের হুমকি পেয়ে ভুক্তভোগী আবুল হাসেম শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিচারের দাবী করেছেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গাবতলি বাজার হতে খলশেকুড়ি বিলে যাতায়াতের বিকল্প রাস্তা না থাকায় সেখান থেকে ফসল বাড়ি নিয়ে আসতে সমস্যা হচ্ছে বেশ কিছু কৃষকের। স্থানীয় ছত্তর মিয়ার ছেলে আবুল হাসেম মিয়ার দোকান ঘরের পাশ দিয়ে রাস্তা তৈরি করার পরিকল্পনা করে এলাকাবাসী। পরে তার পৈতৃক সম্পত্তিতে তৈরিকৃত বিল্ডিং দোকানঘর ভেঙে রাস্তা তৈরির জন্য চাপ দেয় এলাকাবাসী। বিনামূল্যে সে জমি দিতে রাজি না হওয়ায় সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব মো. আমিনুল ইসলাম, প্রফেসর ফারুক মিয়া, মো. ফেরদৌস মিয়া, ইউপি সদস্য সাজু মিয়া, কৃষক রফিকুল ইসলাম ও লাল ফকির প্রমূখের প্রত্যেক্ষ মদদে তার দোকানঘর ভেঙে রাস্তা তৈরি করা হয়। এর আগে তারা বিভিন্ন দপ্তরে রাস্তার দাবিতে স্মারকলিপি দেয়।

আবুল হাসেম বলেন, এই জমি আমার বিআরএস রেকর্ড ভুক্ত। আমার সম্পদ ক্ষতি করে আমি কিভাবে রাস্তা দিবো। আমি প্রায় ৩০ বছর যাবৎ দোকানঘর তৈরি করে ভোগদখল করে আসতেছি। আমিও চাই রাস্তা হোক। যদি আমার জমির মূল্য দেয় তাহলে আমি রাস্তার জন্য ঘর ভেঙে দিমু। তবুও জোর করে আমার দোকানঘর ভেঙে দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।

সাবেক মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, এই আবুল হাসেমের কারণে আমরা এলাকাবাসী খুবই কষ্টে আছি। এই রাস্তাটির কারণে কৃষক বিল থেকে ধান নিয়ে আসতে পারতেছি না। আমরা এলাকাবাসী রাস্তার দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু কোন ভাবেই কাজ হচ্ছে না, তাই আমরা বাধ্য হয়ে এ কাজ করেছি।

প্রফেসর মোঃ ফারুক মিয়া বলেন, রাস্তার জন্য আমরা বারবার বলেছি কিন্তু কোনভাবে হচ্ছিল না, তাই আমরা আজ বাধ্য হয়ে আবুল হাসেমের ঘরটি ভেঙে ফেলেছি।

শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, আমি খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইফতেখার ইউনুস বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম রাস্তা নির্মাণের ব্যাপারে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। তবে অন্যের রেকর্ডিয় সম্পত্তিতে জোর করে দোকানঘর ভেঙে রাস্তা নির্মাণ করা আইনসম্মত নয়।