September 25, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, June 11th, 2023, 8:55 pm

সংকট কাটছে : শ্রীলঙ্কা তুলে নিচ্ছে আমদানি বিধিনিষেধ

অনলাইন ডেস্ক :

অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। তাই ২৮৬টি পণ্যের ওপর দেয়া আমদানি বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে দেশটি। গত শনিবার থেকে এসব পণ্যের আমদানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে দেশটির অর্থমন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফুরিয়ে যাওয়ায় খাদ্য ও জ¦ালানির দাম ব্যাপক বৃদ্ধির জেরে গত বছর ভারতের দক্ষিণ উপকূলের এই দ্বীপ দেশটি গভীর অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে যায়। এর ফলে বিক্ষোভকারী জনতা দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার বেলআউট পাওয়ার পর গত নয় মাসে দেশটির অর্থনৈতিক সংকটের উন্নতি হয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে মুল্যস্ফীতি বাড়লেও বর্তমানে তা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে, ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও। শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত মে মাসে ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। শক্তিশালী রেমিট্যান্স আর পর্যটন খাতের আয় দেশটির অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করছে।

এ ছাড়া চলতি বছর শ্রীলঙ্কার রুপির মান প্রায় ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের মে মাসে শ্রীলঙ্কার রিজার্ভ ২৬ শতাংশ বেড়ে ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা গত ১৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। দ্বীপ রাষ্ট্রটির রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে রেমিট্যান্স ও পর্যটন। অর্থমন্ত্রী এক বিবৃতিতে গত শুক্রবার জানিয়েছেন, ২৮৬টি পণ্যের ওপর আমদানি বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হলো। তবে অন্য ৯২৮টি পণ্যের ওপর বিধিনিষেধ চালু থাকবে। তবে যানবাহনসহ অন্যান্য ৯২৮টি পণ্যের আমদানি নিষেধাজ্ঞা বহাল অব্যাহত থাকবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থনৈতিক সংকট চরম আকার ধারণ করায় ২০২০ সালের মার্চে বিভিন্ন ধরনের পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করেছিল দেশটির তৎকালীন সরকার। এর আগে, গত মঙ্গলবার দেশটির সরকার আগামী ১৫ জুন থেকে প্রয়োজনীয় প্রায় ৬০ শতাংশ ওষুধের দাম ১৬ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। গত বছর শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ৭ দশমিক ৮ শতাংশ সঙ্কুচিত হলেও চলতি বছরে তা ৩ শতাংশ হতে পারে বলে প্রত্যাশা করছে আইএমএফ।