November 24, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, February 5th, 2024, 8:03 pm

সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আরও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে অর্থদণ্ডের আদেশও দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই রায় দেন নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে কাঠগড়ায় ১৫ আসামি উপস্থিত ছিলেন এবং এক আসামি পলাতক ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- সুবর্ণচরের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের মো. সোহেল, মো. হানিফ, স্বপন, মো. চৌধুরী, ইব্রাহীম খলিল বেচু, মো. বাদশা আলম বসু, রুহুল আমিন মেম্বার, আবুল হোসেন আবু, মোশারফ, মো. সালাউদ্দিন, মো. জসিম উদ্দিন, মো. হাসান আলী বুলু, মো. মুরাদ, মো. জামাল ওরফে হেঞ্জু মাঝি ও মো. সোহেল।

আসামি মো. মিন্টু ওরফে হেলাল ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।

মামলা ও আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে গৃহবধূকে মারধর ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে আসামিরা।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ভোটকেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ার জেরে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পরদিন ৩১ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে চর জব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

তদন্ত শেষে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ অভিযোগপত্র দেয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ছালেহ আহম্মদ সোহেল খান বলেন, এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২৩ জন সাক্ষী উপস্থাপন করে। আসামি পক্ষের পাঁচজন সাফাই সাক্ষী দেয়। তবে কোনো সাক্ষীই ভোটকেন্দ্রে পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ায় জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেননি।

আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী হারুনুর রশিদ হাওলাদার ও আইনজীবী জসিম উদ্দিন।

—-ইউএনবি