)-২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পাস করেছে সংসদ। এতে সাড়ে ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার লক্ষ্য নির্ধারণ করে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি রাখা হয়েছে প্রায় ৬ শতাংশ।
সোমবার জাতীয় সংসদে এই বাজেট পাস করা হয়।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ১১ লাখ ১০ হাজার ৮৪০ কোটি টাকার বাজেটে বরাদ্দ চেয়ে বরাদ্দকরণ বিল-২০২৩ উত্থাপন করেন যা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এর আগে আজ, সংসদ কিছু পরিবর্তনসহ অর্থ বিল-২০২৩ পাস করেছে।
সরকারের প্রয়োজনীয় উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন ব্যয় মেটানোর জন্য অর্থ বরাদ্দের সংসদীয় অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক সংসদে উত্থাপিত প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা অনুদানের জন্য ৫৯টি দাবির মাধ্যমে স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ের ব্যয়ের যৌক্তিকতা পেশ করেন।
এর আগে, সংসদ কণ্ঠভোটে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জন্য অনুদানের জন্য ৫৯টি দাবিতে বিরোধী সদস্যদের নামে দাঁড়িয়ে থাকা মোট ৫০৩টি কর্তন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল।
জাতীয় পার্টি ও গণফোরামসহ মোট ১০ জন সংসদ সদস্য বাজেটে তাদের ছাঁটাই প্রস্তাব পেশ করেন। তারা হলেন- কাজী ফিরোজ রশীদ, রুস্তম আলী ফরাজী, মুজিবুল হক, ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বেগম রওশন আরা মান্নান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, মোকাব্বির খান ও রেজাউল করিম বাবলু।
তবে তাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আলোচনায় অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
পরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী দুপুরের খাবারের বিরতি না দিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অনুদানের দাবি পাসের প্রক্রিয়া দ্রুততর করেন।
বরাদ্দ বিল পাশ হওয়ার সময় বিরোধী ও স্বতন্ত্র সাংসদরা হাউসে উপস্থিত ছিলেন এবং তারা বিলটি পাস করতে আপত্তি তোলেননি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ১ জুন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন, যা জিডিপির ১৫ দশমিক ২ শতাংশ। বাজেটে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, জ্ঞানভিত্তিক, এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ নিশ্চিত করার দর্শন রয়েছে।
বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি প্রায় ৬ শতাংশ রাখার প্রত্যাশা সহ জিডিপি বৃদ্ধির হার সাড়ে ৭ শতাংশ।
পরিচালন ও অন্যান্য খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা।
মোট রাজস্ব ধরা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং ৭০ হাজার কোটি টাকা অন্যান্য উৎস থেকে সংগ্রহ করবে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়াবে ২ লাক ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ। মোট ঘাটতির মধ্যে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এবং ১ লাখ ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা বাইরের উৎস থেকে অর্থায়ন করা হবে।
আরও পড়ুন
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
কমতে শুরু করেছে কুড়িগ্রামের নদীর পানি, ভাঙন আতঙ্কে মানুষ
দিনাজপুরে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত ২