November 17, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, November 9th, 2021, 2:53 am

সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া হলো না তন্ময়ের

স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া শেষ করে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হবে। কিন্তু বিদ্যালয়ে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে চিরবিদায় নিল এসএসসি পরীক্ষার্থী মাহাবুবুর রহমান তন্ময় ওরফে তপু (১৭)।

রবিবার নিজ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত। সহপাঠীদের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জখম অবস্থায় তপুকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে তার অকাল মৃত্যু হয়।

এই মৃত্যুর সাথে একটি পরিবারের স্বপ্নেরও মৃত্যু ঘটেছে। মেধাবী শিক্ষার্থী তন্ময়ের এমন অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না তার বাবা-মা, পরিবারের সদস্যসহ তার সহপাঠীরা। এমন নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় যেন বাকরুদ্ধ সকলেই।

নিহত তন্ময়ের নিকটাত্মীয়রা জানান,তন্ময় ছিল মেধাবী ছাত্র। সে চুয়াডাঙ্গা ভি জে স্কুল থেকে জেএসসি পাশ করেছে। তবে এসএসসি পরীক্ষার জন্য সে আল হেলাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। খেলাধুলাতেও তন্ময় ছিল অনেকের থেকে এগিয়ে। পড়াশোনা শেষ করে মা-বাবার ইচ্ছায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন ছিল তার। ভালো কলেজে পড়ার ইচ্ছায় এবার এসএসসি পরীক্ষার্থীর জন্য সে অনেক পরিশ্রমও করছিল। রবিবার সকাল সকাল তৈরি হয়ে তপু স্কুলের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যায় পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে। স্কুলের মধ্যেই প্রকাশ্যে কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে তন্ময়ের ওপরে। এসময় ধারালো অস্ত্রের কোপে তন্ময়ের সাথে মৃত্যু হয় তার বাবা-মায়ের স্বপ্নের।

স্থানীয়রা আরও জানান,নিজ এলাকায় নম্র, ভদ্র এবং মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবেই পরিচিত ছিল তপু। পড়াশোনা শেষ করে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন ছিল তার। কিন্তু এলাকায় প্রভাব দেখানো গ্যাংয়ের রোষানলে পড়ে অকালে প্রাণ গেলো তার।হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

আল হেলাল ইসলামি একাডেমির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রিপন মিয়া বলেন,‘আমাদের স্কুলে এসএসসি শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিল রবিবার। বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ ও এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র নেয়ার জন্য সকাল ৯টা থেকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আসতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। আমি দুপুর পৌনে ১২টায় বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষ করে অফিসকক্ষে প্রবেশ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের চিৎকার শুনতে পাই। এসময় আমিসহ স্কুলের অন্য শিক্ষকেরা বাইরে বের হয়ে দেখতে পাই তপু রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। পরে স্কুলের শিক্ষার্থীদের সহায়তায় তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে সে মারা যায়। যারা স্কুলের মধ্যে প্রবেশ করে এভাবে একজন শিক্ষার্থীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে,আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

—-ইউএনবি