নিজস্ব প্রতিবেদক:
সপ্তাহের ব্যবধানে গ্রীষ্মকালীন সবজির বাজার চড়া। প্রতিটি সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। তবে ব্রয়লার মুরগি ও শীতকালীন সবজি আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার (১লা মার্চ) রাজধানীর তালতলা, শেওড়াপাড়া ও মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনের, বাজার ঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। চলতি সপ্তাহে এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে দাম বেড়ে কচুরমুখী বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি, বেগুন ৬০ থেকে ৮০, করলা ১৪০, ঢেঁড়স ১২০, বরবটি ১৪০, শশা ১০০, পেঁপে ৫০, ধুন্দুল ৮০, চিচিঙ্গা ৮০, ঝিঙা ১০০, পটল ১৪০ এবং সাজনা ২৪০ টাকা কেজি দরে এবং প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়।
চলতি সপ্তাহে এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন প্রতিটি সবজির কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৮০, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০, কাঁচা টমেটো ৩০, খিরাই ৬০ থেকে ৮০, গাজর ৩০ থেকে ৪০, আলু ৩০ টাকা এবং ফুলকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৪০ থেকে ৫০, ব্রুকলি ৫০ টাকায় প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে লেবুর হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ১০০ থেকে ১২০, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০, জালি কুমড়া ৬০, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০, পেঁয়াজের ফুলকলি ৫০ ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।
এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০, মূলা শাক ১৫, পালং শাক ১০ থেকে ১৫, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এদিকে ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি, সোনালি ৩০০, সোনালি হাইব্রিড ২৯০, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ ও লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে, দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ দেশিটা (পুরাতন) ১৩০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ ও দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এদিন বাজারগুলোতে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৯০০, শিং মাছ (চাষের, আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০, রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ১ হাজার, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০, বোয়াল মাছ ৫০০ থেকে ৯০০, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০, তেলাপিয়া ২২০, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৪০, মলা ৫০০, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৬০০, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০, কাচকি মাছ ৬০০, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০, রুপচাঁদা ১ হাজার ২০০, বাইম মাছ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০, দেশি কই ১ হাজার, মেনি মাছ ৭০০, সোল মাছ ৬০০ থেকে ১ হাজার, আড়ই মাছ ৬০০ থেকে ৯০০, বেলে মাছ ৭০০ এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি