নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাজারে শীতকালীন নানা সবজি আসা শুরু হয়েছে। তবে বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। তবে মাছের বাজারও কিছুটা চড়া। বিক্রেতারা বলছেন, হরতাল-অবরোধে সরবরাহ কম, তাই দাম বেশি। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর মেরাদিয়া হাট, গোড়ান বাজার, খিলগাঁও রেলগেট কাঁচাবাজারসহ বেশ এলাকার বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে সবচেয়ে কম দামে যে সবজিটি পাওয়া যাচ্ছে, তা হলো পেঁপে।
প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। আকারভেদে প্রতিটি ফুলকপি ৩৫ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। পেঁপে, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ছাড়া বাজারে আপাতত কমদামি সবজি খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সবজিগুলোর মধ্যে রয়েছে মিষ্টি কুমড়া, মুলা ও আলু। বেগুন গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সবজিগুলোর মধ্যে রয়েছে পটল, করলা, শসা, ঢেঁড়স, ঝিঙা ও ধুন্দল। এসব সবজি গত সপ্তাহের মতো একই দামে বিক্রি হচ্ছে।
শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচুর মুখি ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। কাঁচামরিচ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। খিলগাঁও রেলগেটের সবজি বিক্রেতা ফজলে রাব্বি বলেন, শীতের সবজি শিম, ফুলকপি, টমেটো বাজারে উঠতে শুরু করলেও দাম এখন কিছুটা বেশি। তবে সামনে এই শীতের সবজি দাম কমবে। এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, পাঙাশ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, চাষের কই ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, টাকি ৪০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুই ২৯০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতল ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কেজি আকারের ইলিশের কেজি ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। মাছের দামের বিষয়ে মেরাদিয়া হাটের মাছ বিক্রেতা সুজন মিয়া বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকার বাজারগুলোতে মাছ কম আসছে। পরিবহন সংকটে গাড়ি ভাড়াও বেশি দিতে হচ্ছে। এ কারণে মাছের বাজার বাড়তি যাচ্ছে। অন্যদিকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। সোনালি ও ককের কেজি ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা। পাশাপাশি গরুর মাংসের কেজি ৭৮০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ টাকা। মেরাদিয়া হাটের মুরগি বিক্রেতা শামসুল হক বলেন, বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকার মতো কমেছে। গত সপ্তাহে ২০০ টাকার বেশি দরে ব্রয়লার বিক্রি করলেও এ সপ্তাহে ১৮০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে বিক্রি করছে। পাকিস্তানি কক এবং সোনালি মুরগী আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি