অনলাইন ডেস্ক :
পুরনো ইতিহাস পাল্টে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক এখন পেসাররা। হুট-হাট একটি কিংবা দুটি ম্যাচ নয়। ধারাবাহিক ভাবেই পারফর্ম করে যাচ্ছে বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিট। পেস বোলার হিসেবে যিনি-ই সুযোগ পাচ্ছেন, কাজটা ঠিকঠাক করে ফেলছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, হাসান মাহমুদদের পারফরম্যান্সে কিছুটা পেছনে পড়ে থাকলেও মোস্তাফিজ এখনও অন্যতম সেরা অস্ত্র। তাদের সঙ্গে আছেন শরিফুল ইসলাম। তাসকিন জানিয়েছেন, দেশের জয়ে সবাই কাঁধে কাঁধ রেখে লড়াই করছেন, তাদের মধ্যে নেই কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাও। একটা সময় ঘরের মাঠে পেসারদের ব্যবহার করা নিয়ে দ্বিধায় ভুগতেন অধিনায়ক। দিন পাল্টেছে, এখন অধিনায়কের মূল ভরসা হয়ে উঠেছেন পেসাররাই। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান সিরিজেও দেখা গেছে, তেমন পারফরম্যান্স। সিলেটে শেষ ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডের দশ উইকেটের সবগুলোই পেসাররা নিয়েছিলেন। ওই ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা বল করে ৫ উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ। সোমবার প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও আইরিশদের ৫ উইকেটের সবগুলো নিয়েছেন দুই পেসার- তাসকিন ও হাসান। ২৪ রানে ৪ উইকেট শিকার করা তাসকিন ম্যাচের পর হাসানের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘আরও ভালো করুক (হাসান), ১০ উইকেট করে নিক। কারণ, আমি তো আগেই বললাম পাঁচজনই ভাই। সব পেসাররা যত ভালো করবে, প্রতিপক্ষ তত চাপ অনুভব করবে। কারণ ওরা আমার প্রতিদ্বন্দ্বী না। আমিই আমার প্রতিদ্বন্দ্বী। আমি চাইবো সবাই মিলে ভালো করতে। তাহলে বিশ্ব ক্রিকেটে একটা হুমকি যাবে যে বাংলাদেশের পেস বোলাররা গ্রো করছে। ও ১০ উইকেট নিলেও আমার কোন ক্ষতি নেই বা আমার উন্নতি নেই। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আমি, নিজের বেস্ট রেকর্ডটা ভেঙে আরও ভালো করতে চাই। দোয়া করি সবাই ভালো করুক।’ টেস্ট ও ওয়ানডেতে এবাদত নিয়মিতই ভালো করছেন। টি-টোয়েন্টিতে ভালো করছেন হাসান। মোস্তাফিজ একটা সময় দলের সেরা পেসার হিসেবে বিবেচিত হলেও এই মুহূর্তে ছন্দহীন। শরিফুল ইসলাম ব্যাকআপ হিসেবে আছেন সুযোগের অপেক্ষায়। এদিকে, তিন ফরম্যাটেই দলের সেরা বোলার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তাসকিন। দ্রুতগতির এই পেসার নিজেদের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন। সব পেসার মিলে মিশে প্রতিপক্ষের জন্য থ্রেট হিসেবে আর্ভিভূত হতে চান তারা। এখন শুধু লক্ষ্য পরের ধাপে যাওয়ার, ‘সবাই সবার দিক থেকে চিন্তা করছে। ইউনিট হিসেবে সবাই ওয়ার্ল্ড ক্লাস বোলার হলে এই ইউনিটকে সামলাতে সবার অসুবিধা হবে। বড় দলে চার-পাঁচটা ভালো বোলার থাকে। আমরাও সেটাই চাচ্ছি। পেস বোলাররা ফ্যামিলির মতো, সবাই সবার ভালো চেয়ে কাজ করছি। এখনও আমাদের নেক্সট লেভেলে যাওয়া বাকি।’ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে খেলা হচ্ছে। এসব উইকেটে পেসারদের চ্যালেঞ্জ কিছুটা বেশিই। ভিন্ন পরিস্থিতিতে কীভাবে সফল হওয়া যাবে, সেই উপায় খুঁজে বের করতে হয় পেসারদের। বিষয়টি নিয়ে তাসকিন বলেছেন, ‘ভালো উইকেটে পেস বোলারদের অ্যাকুরেসি ১০০-১০০ হতে হয়। যত বেশি ভালো উইকেটে খেলা হবে আমাদের জন্য তত ভালো। স্পোর্টিং উইকেটে ব্যাটার-বোলারদের জন্য সুবিধা থাকবে। আল্লাহ রহমতে লাস্ট দুটা সিরিজে ভালো উইকেট ছিল। আমরা বেটার ক্রিকেট খেলে জিতেছি। অনেকে মনে করতে পারে হোম কন্ডিশনে জিতেছি, না আমরা ভালো উইকেটে খেলে জিতেছি। এটা তো বাড়তি প্রেরণা। চাইবো, এই ধরনের উইকেটে খেলা হোক।’
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা