জেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের হাসিমপুর-ভাগমতপুর গ্রামে এলজিইডি’র সরকারি পাকা রাস্তাটি মাসুক মিয়া নামে এক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী দখল করে বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে রাস্তাটি দখলমুক্ত করতে গত ২২ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে প্রায় ২৫ জন ব্যক্তির স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগও দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ১ ডিসেম্বর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মেহেদী হাসানকে দায়িত্ব দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুর রহমান খোন্দকার।
অভিযোগ সূত্রে এবং স্থানীয় হাসিমপুর ও ভাগমতপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ুম মাজু, শামিম আহমদ, এনায়েত হোসেন, মোঃ রানু মিয়া, সুজা মিয়া, একে এম নিয়ামুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, কাদিপুর ইউনিয়নের হাসিমপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মাসুক মিয়া হাসিমপুর এলাকার বাসিন্দা। ওই এলাকা দিয়ে সড়কের পাশে কুলাউড়া-ভূকশিমইল ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ সড়কের হাসিমপুর মুক্তার দোকান থেকে ভায়া পূর্বমুখী রাস্তা রয়েছে। সেই এলাকায় তাদের বাড়িটি পৈত্রিক জায়গায় নির্মাণ করা হলেও বাড়ির দক্ষিণপাশের্^ সরকারি ম্যাপ অনুযায়ী ১৫-২০ ফুট জায়গার রাস্তা দখলে নিয়ে এক পাশে পাকা করে প্রাচীর দিয়ে দখল করতে থাকেন। এই রাস্তাটি স্থানীয় হাসিমপুর, ভাগমতপুর, গুপ্তগ্রামের কয়েক হাজার লোকজন চলাচল করেন। এছাড়া হাসিমপুর দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরাও এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। প্রাচীর নির্মাণের শুরু থেকেই ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী গ্রামবাসী সরকারি রাস্তা দখল থেকে বিরত থাকতে প্রবাসী মাসুক মিয়াকে অনুরোধ করলেও তিনি কাজ বন্ধ রাখেননি। তিনি তাদের কথায় কর্ণপাত না করে দিব্যি প্রাচীর নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সরকারি রাস্তায় প্রাচীর নির্মাণের বিষয়টি অস্বীকার করে প্রবাসী মাসুক মিয়া মুঠোফোনে বলেন, সরকারি রাস্তার ১২ ফুট জায়গা বাকি রেখে আমার মালিকানাধীন জায়গায় প্রাচীর নির্মাণ করছি। একসময় এই রাস্তাটি ৬ ফুটের ছিল। পরবর্তীতে গ্রামের লোকজনের চলাচলের সুবিধার্থে ওই সড়কের আশপাশের লোকজন জায়গা দিয়ে রাস্তাটি বড় করেছেন। এখন এলাকার কিছু লোকজন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, রাস্তা দখল করে সরকারি জায়গার ওপর প্রাচীর নির্মাণের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর সরেজমিন ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। এসময় প্রাচীর নির্মাণের সত্যতা পেয়ে ওই ব্যক্তিকে কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দিয়ে এসেছি। আমি প্রতিবেদন ইউএনও স্যারের কাছে দিব তিনি পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুর রহমান খোন্দকার বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে দেখার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে দায়িত্ব দিয়েছি। এখন তিনি সরকারি রাস্তার ম্যাপসহ প্রাচীর নির্মাণ কারী ব্যক্তির কাগজাদি যাচাই করে দেখে এখানে প্রাচীর নির্মাণ করা যাবে কি যাবে না সেটার পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি