November 22, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, August 20th, 2024, 9:16 pm

সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে ডাক বিভাগের সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক

সরকারি কেনাকাটায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্র ও উপপোস্টমাস্টার জেনারেল মোস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের মুখপাত্র আকতারুল ইসলাম বলেন, দুদকের ঢাকা সমন্বিত কার্যালয়, দুদক-১ এর একজন সহকারী পরিচালক মামলাটি দায়ের করবেন।

তিনি বলেন, ‘পোস্ট ই-সেন্টার ফর রুরাল কমিউনিটি’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও উপপ্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালনকারী ভদ্র ও আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।’

এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৫০০ এইচপিই সার্ভার ও ইউপিএস ইউনিট কেনার সময় ১৫ কোটি টাকার বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখযোগ্য ব্যয় সত্ত্বেও, সরঞ্জামগুলো কখনই ব্যবহার করা হয়নি, যার ফলে সরকারি তহবিলের ক্ষতি হয়েছে।

২০১৭ সালে টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পরিচালিত একটি তদন্তে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা যায়, সার্ভার, ইউপিএস ইউনিট এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম কেনার জন্য সরকারি মালিকানাধীন টেলিফোন শিল্পের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল। এগুলো জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ডাকঘরগুলোতে বিতরণের জন্য এসব সরঞ্জাম দেওয়া হয়।

অপচয় ও আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত সচিব (টেলিকম) মুহিবুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। দলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সদস্যরা ছিলেন।

তদন্ত দলটি পোস্ট অফিসগুলো আকস্মিক পরিদর্শন করে এবং স্টক রেজিস্টারগুলো যাচাই করেছে। ২০১৭ সালের জুনে সমাপ্ত প্রকল্পটিতে উল্লেখযোগ্য অসঙ্গতির প্রমাণ পায় তদন্ত দল। সরবরাহের চালানগুলো থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির প্রায় দুই বছর পরেও কিছু পণ্য সরবরাহ করা হয়।

তদন্তে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট পোস্টমাস্টারসহ দায়িত্বশীল কর্মচারীরা যন্ত্রপাতি অব্যবহৃত থাকার কারণ হিসেবে প্রশিক্ষণ ও জ্ঞানের অভাবের কথাও উল্লেখ করেন। মেশিনগুলোর উদ্দেশ্যমূলক ব্যবহারের বিষয়ে ডাক অধিদপ্তরের কোনও নির্দেশের প্রমাণও পাওয়া যায়নি। এর ফলে বাস্তবেই সেগুলো অকেজো হয়ে গেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রশিক্ষণের জন্য ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও কোনো প্রশিক্ষণ সেশন অনুষ্ঠিত হয়নি। তদন্ত দল চূড়ান্তভাবে দেখতে পেয়েছে যে, প্রয়োজনীয় দক্ষ জনশক্তি তৈরি না করে সার্ভারগুলো কেনার ফলে সরবরাহকারী সংস্থাটি প্রাথমিকভাবে চুক্তিগত বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করে লাভবান হয়েছিল।

—–ইউএনবি