জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর সাধারণের নাগালের বাইরে চলে যাওয়া নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে আনার উপায় নিয়ে ভাবছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এনইসিতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) নিয়মিত বৈঠকে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সহনীয় পর্যায়ে এবং সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নামিয়ে আনা এখন গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি সরকারের ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির কথা উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এক কোটি মানুষকে বিশেষ পরিবার কার্ড দেবো, যার মাধ্যমে তারা ন্যায্য মূল্যে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে সক্ষম হবে। আমরা এই পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে নিম্ন-মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীকে ভোগান্তি থেকে বাঁচাতে সরকারকে আরও কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে বলে তিনি মনে করেন।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে, নিম্ন-আয়ের মানুষ, মধ্যম-আয়ের মানুষ এবং সীমাবদ্ধ আয়কারী মানুষ মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। আমরা তা বুঝতে পারি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি জনগণের জন্য তার রাজনীতি করেন এবং যখনই জনগণের কষ্ট হয়, তিনিও কষ্ট অনুভব করেন।
প্রধানমন্ত্রী আমদানি নির্ভরতা কমাতে দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার ফলে বিশ্ববাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ক্রয় করার ক্ষমতা ছিল, কিন্তু দাম আমাদের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের বাইরে চলে গেছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যখনই এগিয়ে যেতে শুরু করেছে এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করেছে; তখনই বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের কারণে এই ধরনের অনিশ্চয়তা আঘাত হেনেছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
কমতে শুরু করেছে কুড়িগ্রামের নদীর পানি, ভাঙন আতঙ্কে মানুষ
দিনাজপুরে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত ২