ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে নারীসহ সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর এ তথ্য জানান।
এর আগে বুধবার (১২ অক্টোবর) রাতে পৌরসভার বাকাইল এতিমখানা মাদরাসা এলাকা থেকে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ তাদেরকে আটক করে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- রাকিবুল হায়দার, রেজাউল করিম খান, আরাফাত হোসেন, শামীম হোসেন, গাড়ির ড্রাইভার আতাউর রহমান, জীবনী ও সোমা পারভিন। তারা গাজীপুর, নোয়াখালী, জামালপুর ও শেরপুর জেলার বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকালে উপজেলার ইউসুবেরবাগ মাদরাসা ও এতিমখানায় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি চলছে-এমন অভিযোগ তুলে মাদরাসার অধ্যক্ষের কাছে জানান তারা সমাজসেবা মন্ত্রণালয় থেকে অডিট করার জন্য এসেছেন। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট ও সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হয়। ‘অডিট করার বিল’ বাবদ নগদ ৩ হাজার টাকাও নেন। আরও ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন,যা দুই দিনের মধ্যে বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করতে বলা হয়।
একইভাবে উপজেলার পৌরসভার বাকাইল এতিমখানা মাদরাসায় গিয়ে অধ্যক্ষ হাফেজ মো. ইদ্রিস আলীকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে টাকা হাতানোর চেষ্টা করেন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষের বিষয়টি সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকদের জানান। তাদের কাছে থাকা আইডি কার্ড যাচাই করে দেখা যায় তারা অবৈধ অর্থ লাভের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে আলফাডাঙ্গায় এসে বিভিন্ন মাদরাসায় প্রতারণা করে টাকা দাবি করছে।
পরে স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকরা পুলিশকে খবর দিলে রাতে পুলিশ এসে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে ইউসুবেরবাগ গোরস্থান মাদরাসা ও এতিখানার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. শরফুদ্দিন মোল্যা বাদী হয়ে আটকদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মধুখালী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কর বলেন, বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
সাইবার আইনের মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে, গ্রেপ্তাররা মুক্তি পাচ্ছেন
সাবেক এমপি সুজনের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ