অনলাইন ডেস্ক :
মাঠের বাইরের ঘটনা দিয়ে গত মাস দুয়েক ধরে নিয়মিত আলোচনায় আছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিবের বিরুদ্ধে গুরুতর সব অভিযোগ উঠেছে। জুয়া কম্পানির সঙ্গে চুক্তি, শেয়ার বাজারে কারসাজির পর নিজের বাবার নাম জালিয়াতি করার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে! অথচ, চার বছর আগে এই সাকিবকেই শুভেচ্ছাদূত করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। বিশ্বের অন্যতম সেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান নানা ঘটনায় বারবার বিতর্কিত হয়েছেন। তবে গত কিছুদিন ধরে যেসব ঘটনা সামনে আসছে, তা হতবাক হওয়ার মতোই। নানা ব্যবসায় যুক্ত হওয়ার পর সাকিব পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেন। যৌথ অংশীদারিত্বে খোলেন ব্রোকারেজ হাউজ মোনার্ক হোল্ডিংস। এই মোনার্ক হোল্ডিংসের নাম উঠে এসেছে শেয়ার কারসাজিতে। সেই ঘটনার রেশ না কাটতেই আরও একটি ঘটনা সামনে আসে। অভিযোগ উঠেছে, সাকিব তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘মোনার্ক হোল্ডিংস’-এর কাগজপত্রে নিজের বাবার নামের জায়গায় ভুয়া নাম ব্যবহার করেছেন। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের বাবা খন্দকার মাশরুর রেজার বিপুল পরিচিতি আছে। কিন্তু মোনার্ক হোল্ডিংয়ের কাগজপত্রে সাকিবের বাবার নামের জায়গায় লেখা হয়েছে ‘কাজী আবদুল লতিফ’। সাকিব এটাকে ‘মিসটেক’ হিসেবে দাবি করলেও দুটি নামের মাঝে পার্থক্য অনেক। এই কাজী আবদুল লতিফ হলেন আলোচিত বিনিয়োগকারী আবুল খায়ের হিরুর শ্বশুর। যার বিরুদ্ধে এত দুর্নীতির অভিযোগ, সেই সাকিবকেই ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুভেচ্ছাদূত করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন। সেই সময়কার দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছিলেন, ‘সাকিবের মতো যুব সমাজ যদি ক্ষতিকর কাজের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তাহলে কার এত সাহস আছে যে দুর্নীতি করে?’ এরপর ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর সাকিব জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করে আইসিসি কর্তৃক নিষিদ্ধ হন। এর দিন চারেক পর তিনি দুদক কার্যালয়ে গিয়ে শুভেচ্ছাদূতের দায়িত্ব ছেড়ে দেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা