অনলাইন ডেস্ক :
কেন সাকিব আল হাসান তিন সংস্করণের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছেন, প্রশ্ন উঠেছে। মূলত টেস্ট সংস্করণ নিয়েই আলোচনা। এই অলরাউন্ডারের টেস্টে অনীহা ও সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার সফরে না গিয়ে বিশ্রাম নেওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তারপরও তাকে তিন সংস্করণের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখা কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও সাবেক স্পিনার আবদুর রাজ্জাক বলছেন, সাকিব না চাইলে তাকে সরানো কঠিন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে বাংলাদেশ দলের নির্বাচক প্যানেলে যুক্ত হয়েছেন রাজ্জাক। নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা তৈরিতে কাজ করেছেন নির্বাচক কমিটির অন্যতম এই সদস্য। কেন সাকিবকে তিন সংস্করণের চুক্তিতে রাখা, প্রশ্নটা এসেছিল তার কাছেও। সাবেক বাঁহাতি স্পিনার একেবারে সোজাসাপ্টা উত্তর দিয়েছেন। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর বক্তব্য, নতুন এই কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা এক মাস আগেই তারা করেছেন। যখন কিনা সাকিব টেস্ট না খেলার কথা জানিয়েছেন। তারপরও কেন তিনি তিন সংস্করণে? শুক্রবার (১১ মার্চ) সংবাদমাধ্যমকে রাজ্জাক বলেছেন, ‘কেউ দুটি সিরিজ বিশ্রাম নিলে তাকে তিন ফরম্যাটের চুক্তিতে রাখা যাবে না, এটা না। এখানে সিস্টেম হলো- বোর্ড প্রথমে কথা বলেছে কে কোন ফরম্যাটে খেলতে চায়। তারপর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ অর্থাৎ বোর্ডকে সাকিব টেস্ট খেলার ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছেন বলেই তাকে রাখা হয়েছে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে। কিন্তু এখন যে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের টেস্ট খেলতে চাইলেন না, যার রেশ ধরে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাকে ‘বিশ্রাম’ দিলো বিসিবি! সেই দিক থেকে দেখলে সাকিব বোর্ডের ‘শর্ত’ ভেঙে ফেললেন। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো এই অলরাউন্ডারকে ‘বিশ্রাম’ দেওয়ার পরদিনই ঘোষিত কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তিন সংস্করণে জায়গা পেলেন সাকিব! এখানেই রাজ্জাক ‘আসল’ কথা বললেন, ‘সাকিব কিন্তু এখনও কোনও ফরম্যাট থেকে সরে যায়নি। সাকিব এই মাপের খেলোয়াড় যে নিজে কোনও ফরম্যাট থেকে সরে না গেলে ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষে তাকে সরিয়ে দেওয়া কঠিন।’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘এখনও সাকিবের সঙ্গে আমাদের ওরকমভাবে কথা হয়নি। যেহেতু হয়নি, ফট করে একটা কথা বলে দেওয়া ঠিক না। কথা হলে জানতে পারবেন।’
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা