অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত নিম্ন আদালত খোলা থাকার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। বুধবার (১৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনালে মো. আলী আকবর এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করেন। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভার্চ্যুয়ালি এবং শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ পরিচালনা করা যাবে। সার্কুলারে বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, করোনাভাইরাসজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগামী ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে দেশের অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহ কর্তৃক ‘তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০’ এবং এই কোর্ট কর্তৃক জারিকৃত এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণপূর্বক সকল প্রকার দেওয়ানি ও ফৌজদারি দরখাস্ত/আপিল/রিভিশন/বিবিধ মামলাসহ সকল প্রকার শুনানি গ্রহণ (সাক্ষ্যগ্রহণ বাতীত) ও নিষ্পত্তি করবেন। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহে মামলা দায়ের করা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনপূর্বক সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে শারীরিক উপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণপূর্বক সাকসেশন ও অভিভাবকত্ব (এঁধৎফরধহংযরঢ়) নির্ধারণ বিষয়ক মামলা শুনানি ও নিষ্পত্তি করা যাবে। ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি/ব্যক্তিগণ অধস্তন ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহে শারীরিক উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ আবেদন দাখিল করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে শুনানি কার্যক্রমের পদ্ধতি ও সময়সুচি এমনভাবে নির্ধারণ ও সমন্বয় করতে হবে যাতে আদালত প্রাঙ্গণে এবং আদালত ভবনে কোনরূপ জনসমাগম না ঘটে। আত্মসমর্পণ দরখাস্ত শারীরিক উপস্থিতিতে শুনানির সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং তার পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী ব্যতীত অন্য কোনো আইনজীবী এজলাস কক্ষে অবস্থান করবেন না। একটি আত্মসমর্পণ এর শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী এজলাস কক্ষ ত্যাগ করার পর বিচারক/ম্যাজিস্ট্রেট পরবর্তী আত্মসমর্পণের দরখাস্ত শুনানির জন্য গ্রহণ করবেন। অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে জামিন শুনাানিকালে এবং মামলার অন্যান্য কার্যক্রমে হাজতি আসামীদের কারাগার হতে প্রিজনভ্যান বা অন্য কোনভাবে আদালত কক্ষে হাজির না করার নির্দেশ প্রদান করা হলো। হাজতি আসামির রিমান্ড শুনানির ক্ষেত্রে কারাগারে ভিডিও কনফারেন্সের লিংক প্রেরণ করে শুনানি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট আসামিকে কারাগার কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ভার্চ্যুয়ালি দেখে রিমান্ড শুনানি করতে পারবেন। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিবি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন
সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
সাইবার আইনের মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে, গ্রেপ্তাররা মুক্তি পাচ্ছেন
সাবেক এমপি সুজনের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ