রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে পাহাড় কাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সাজেকে পাহাড় কাটা বন্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত।
এছাড়াও ধ্বংসপ্রাপ্ত পাহাড় পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে সেটিও জানতে চাওয়া হয়।
মঙ্গলবার এ বিষয়ে জনস্বার্থে করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
আদেশে পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও চট্টগ্রামের ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ২৮ মার্চ ‘সাজেকে পাহাড় কেটে সুইমিংপুল’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৮০০ ফুট ওপরে পাহাড় কেটে ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে মেঘপল্লী রিসোর্ট নির্মাণ করছে সুইমিংপুল। প্রকাশ্যে অনিয়ন্ত্রিতভাবে কাটা হচ্ছে পাহাড়। এতে সাজেকের প্রাকৃতিক ভারসাম্য যেমন নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে পাহাড়ধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে ১ এপ্রিল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রিট করা হয়।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।
মনজিল মোরসেদ বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর ধারা ৬খ অনুযায়ী বিনা অনুমতিতে পাহাড় কাটা নিষেধ। প্রভাবশালী একটি মহল আইন মান্য না করে সাজেকে পাহাড় কেটে প্রকৃতির ধ্বংস করছে। এটা বন্ধ হওয়া আবশ্যক।
এ বিষয়ে মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশিত হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান তিনি।
মোরসেদ বলেন, বিষয়টি জনস্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত বিধায় আদালতের নির্দেশনা প্রয়োজন বলে রিট আবেদন করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আদালত এক অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে প্রশাসনকে মনিটরিং টিম গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে কেউ পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া পাহাড় কাটতে না পারে।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম