সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। মামলার আসামি নৌকা প্রতীক নিয়ে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম ও পরাজিত প্রার্থী অহিদুল ইসলামসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ভোরে উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের গদাইপুর, খাজরাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার অন্যান্যরা হলেন- সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস, গোলাম মোস্তফা, মোস্তাকিন মোল্যা ও গোলাম রাব্বি।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার শান্তিপূর্ণ ভোট শেষ হয়। পরদিন খাজরা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শহনেওয়াজ ডালিমের আনন্দ মিছিল থেকে অহিদুল ইসলামের বাড়ির দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তার সমর্থকরা। এ ঘটনার পর পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অহিদুল ইসলামের বাড়ির ছাদের ওপর থেকে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম ও তার সহযোগীদের ওপর বৈধ অস্ত্র দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। এর মধ্যে চার জন গুলিবিদ্ধ হন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবির জানান, এ ঘটনায় শাহনেওয়াজ ডালিম তার প্রতিদ্বন্দ্বী ওহিদুল ইসলামসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
অপরদিকে, অহিদুল ইসলামের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস বাদী হয়ে শাহনেওয়াজ ডালিমসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
এই দুই মামলায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী পরাজিত প্রার্থী ওহিদুল ইসলামসহ মোট ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে সাতক্ষীরা আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি