April 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, September 24th, 2021, 9:20 pm

সাতক্ষীরায় স্কুলছাত্রীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা

জেলা প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরার দেবহাটায় পূর্ণিমা দাশ (১৫) নামে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের টিকেট গ্রামের পরিত্যক্ত একটি বাড়ির সবজি বাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পূর্ণিমা দাশ কুলিয়া ইউনিয়নের টিকেট গ্রামের শান্তি দাসের মেয়ে এবং গাভা একেএম আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতভর নিখোঁজ ছিল পূর্ণিমা দাশ। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে একই গ্রামের তারক ম-লের পরিত্যক্ত বাড়ির সবজি বাগানে তার বিবস্ত্র লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পরিবার ও থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। উদ্ধারকালে তার মুখম-লসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়ের দাগ ও গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন দেখা গেছে। এছাড়া স্থানীয়রা লাশ থেকে কিছুটা দূরে পড়ে থাকা একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। যাতে সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কেউ পূর্ণিমাকে পরিত্যক্ত ওই বাড়ির পাশে যাওয়ার জন্য এসএমএস করেছিল। পূর্ণিমার বাবা শান্তি দাস জানান, পার্শ্ববর্তী এলাকার শিবু ম-লের ছেলে পার্থ ম-ল দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বখাটে পার্থ ম-লই তার মেয়েকে দেখা করার কথা বলে মোবাইলের মাধ্যমে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে তাদের ধারণা। পূর্ণিমা দাসকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় বখাটে পার্থ ম-লের সঙ্গে তার একাধিক সহযোগী জড়িত থাকতে পারে বলেও সন্দেহ তাদের। এদিকে স্থানীয়রা জানান, প্রথমে কু-প্রস্তাবে রাজি না হলেও পরবর্তীতে পরিবারের অজান্তে পূর্ণিমা দাসের সঙ্গে পার্থ ম-লের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বাড়ির লোকজনের সামনে পূর্ণিমা মোবাইল ব্যবহার করতো না। সম্ভবত যে মোবাইলটি উদ্ধার হয়েছে, যোগাযোগের জন্য সেটি পার্থ ম-ল গোপনে পূর্ণিমাকে দিয়েছিল এবং বাড়ির লোকজনের নজর এড়িয়ে ওই ফোন দিয়েই সে পার্থ ম-লের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর পূর্ণিমাকে মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। পরে তারা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। এ ব্যাপারে দেবহাটা থানার ওসি (চলতি দায়িত্ব) ফরিদ আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতোল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।