অনলাইন ডেস্ক :
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে দুই দলের ব্যবধান ৬১ ধাপ। তাই মালয়েশিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের পক্ষে বাজি ধরার লোক খুব কমই ছিল। ম্যাচের আগে চারপাশের আলোচনায় বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা নেই-এমন সব কথা শুনে কিছু একটা করে দেখাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন সানজিদা-কৃষ্ণা রানীরা। সবার হিসাব উল্টে দিয়ে কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার প্রীতি ম্যাচে মালয়েশিয়াকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। জোড়া গোল করেন আঁখি খাতুন; একটি করে গোল সাবিনা খাতুন, সিরাত জাহান স্বপ্না, মনিকা চাকমা ও কৃষ্ণা রানী সরকারের। সাবিনা-কৃষ্ণাদের সামর্থ্য নিয়ে অন্যরা সংশয় প্রকাশ করলেও তাদের মনোবলে চিড় ধরেনি। বরং মানুষের নেতিবাচক মনোভাব তাতিয়ে দিয়েছিল বলে গণমাধ্যমকে জানালেন সানজিদা। “ম্যাচের আগের দিন বাফুফেতে অনেক সাংবাদিক এসেছিল। কয়েকজন বলাবলি করছিল মালয়েশিয়ার বিপক্ষে আমরা পারব না। কেননা, ওরা র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে। এটা শুনে মনের মধ্যে জেদ তৈরি হয়, আমরাও যে পারি সেটা দেখিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। এতদিন ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছি, সবাই এক সঙ্গে আছি। তাই নিজেদের প্রতি বিশ্বাস ছিল আমরা পারবই। দ্বিতীয় ম্যাচে লক্ষ্য থাকবে আরও ভালো পারফরম্যান্স করার।”মালয়েশিয়ার কফিনে ষষ্ঠ পেরেকটি ঠুকে দেন কৃষ্ণা। ঋতুপর্না চাকমার ক্রসে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরোয়ার্ড। গত কয়েকটি ম্যাচ গোল না পাওয়ার বৃত্ত ভাঙতে মরিয়া ছিলেন বলে জানালেন তিনি। “শেষ কয়েক ম্যাচে গোল করতে পারিনি। তাই গোলের জন্য ক্ষুধার্ত হয়ে ছিলাম। গোল পেয়ে ভালো লাগছে। ওরা র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে, ভেবেছিলাম কঠিন ম্যাচ হবে। বিশ্বাস ছিল ম্যাচ জিতব, কিন্তু এত বড় ব্যবধানে জিতব ভাবিনি।” দারুণ জয়ে মধুর প্রতিশোধও নিয়েছে গোলাম রব্বানী ছোটনের দল। সবশেষ ২০১৭ সালের দেখায় মালয়েশিয়ার কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। আগামী রোববার দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা