অনলাইন ডেস্ক :
স্ত্রী চিত্রনায়িকা মৌসুমীর সঙ্গে খারাপ আচরণ ও তাকে বিরক্ত করায় চিত্রনায়ক জায়েদ খানকে চড় মেরেছেন অভিনেতা ওমর সানী। অন্যদিকে, জায়েদও তাকে পিস্তল দিয়ে গুলি করার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে চলচ্চিত্রের মুভিলর্ড-খ্যাত ডিপজলের বড় ছেলে সৌমিকের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে। পুরো ঘটনা নিয়ে অনেকটা নিশ্চুপ ছিলেন আয়োজক ডিপজল। এবার তিনি মুখ খুললেন। বলেন, ‘গত কিছুদিন ধরে আমার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে অত্যন্ত ব্যস্ত সময় কেটেছে। বিয়েতে আমার সহকর্মীসহ অনেক অতিথি এসেছেন। পত্রিকায় দেখলাম, কোনও এক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে আমার কথা ছেপেছে। আসলে বিষয়টি আমি জানিই না। জানার কোনও কারণও নেই। শত শত অতিথিকে অভ্যর্থনা জানানো এবং তাদের সাথে কুশল বিনিময় নিয়ে আমাকে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে এমন কোনও ঘটনা ঘটতে পারে বলে কোনও ভদ্রলোকও বিশ্বাস করবে না। আরও অনেক গণ্যমান্য অতিথিদের সাথে ওমর সানী ও জায়েদকে আমিই অনুষ্ঠানে অভ্যর্থনা জানিয়েছি। যদি ধরেও নিই, তাদের মধ্যে কোনও মনোমালিন্য রয়েছে, তাহলে কি তারা একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে এসে এমন ঘটনা ঘটাবে? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? তারা তো শিল্পী, তারা জানে কোথায় কেমন ধরনের আচরণ করতে হয়।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘পুরো বিষয়টিই ভিত্তিহীন ও অসত্য। এখন কেউ কেউ যদি কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে এ ধরনের কথা ছড়িয়ে থাকে, তাহলে বলবো তারা ভালো কাজ করেনি। এত ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে কথা বলাও তো অশোভন। আমি মনে করি, যারা এসব কথা ছড়িয়েছে, তারা চলচ্চিত্রের বদনাম করার জন্য করছে। কারণ, আমরা সেলিব্রেটি। আমাদের সামাজিক মানমর্যাদা ও দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। আমাদের মধ্যকার যেকোনও ধরনের অশোভনীয় আচরণ চলচ্চিত্রের সুনাম ক্ষুণ্ণ করে। ফলে ব্যক্তি, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে আমাদের সতর্ক থাকতে হয়। আমরা সমাজের বাইরে নই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদেরও পারিবারিক ও সামাজিক জীবন রয়েছে। এমন কোনও আচরণ করা যাবে না, যা আমাদের দর্শকের মনে খারাপ ধারণা সৃষ্টি করে। ডিপজল বলেন, আমার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান যেখানে হয়েছে, সেটি অত্যন্ত সুরক্ষিত এবং নিরাপত্তা বেষ্টনীতে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছিল। প্রবেশের ক্ষেত্রে মেটাল ডিটেক্টর ছিল। প্রত্যেককেই এই নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনও ধরনের পিস্তল বা অন্যকোনো অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করার সুযোগ নেই। কাজেই, জায়েদ বা অন্য যে কেউ হোক না কেন, কারো পক্ষেই অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করার অনুমতি ছিল না। যারা জায়েদ ও ওমর সানির কথিত ঘটনা ছড়িয়েছে, তারা ভালো কাজ করেনি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তাদের এক ধরনের অসৎ উদ্দেশ্য এর পেছনে কাজ করেছে বলে আমি মনে করি।’ বিষয়টি নিয়ে ওমর সানী বলেন, ‘সে (জায়েদ খান) দীর্ঘদিন ধরে আমার বউকে (মৌসুমী) ডিস্টার্ব করছেন। আমাদের বিভিন্ন কাজেও বাগড়া দিয়ে আসছেন। আমাদের অনেক কাজই সে বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু তারপরও আমি চুপ ছিলাম, মাটির দিকে তাকিয়ে নিজেকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করেছি। আমার কাছে অনেক প্রমাণ আছে।’ অন্যদিকে জায়েদ খান বিস্ময় প্রকাশ বলেন, ‘এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি, নির্বাচনের রায় সামনে রেখে এমন করা হচ্ছে। আর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে পিস্তল নিয়ে যাওয়া যায় নাকি! আমি বিয়ের দাওয়াতে পিস্তল নিয়ে যাবো কেন? আর ওমর সানী আমাকে চড়ও দেয়নি।’ সানীর অভিযোগের প্রমাণ উপস্থাপনের দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন
ইউটিউব থেকে সরানো হলো শাকিবের ‘তুফান’
চিন্তিত অনন্যা পান্ডে
কনাকে নিয়ে সুখবর দিলেন আসিফ