জেলা প্রতিনিধি, নওগাঁ (সাপাহার) :
নওগাঁর সাপাহার ঐতিহ্যবাহী জবই বিলে মৎস্য আহরণ কাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নওগাঁ জেলার জেলা প্রশাসক মো: গোলাম মাওলা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মৎস্য আহরণ কাজের উদ্বোধন করেন।
সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাসুদ হোসেন এর সভাপতিত্বে জবই বিলের বাগডাঙ্গা ঘাটে বিল প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত মৎস্য আহরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রশিদুল হক, সাপাহার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান হোসেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোসা: রোজিনা খাতুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মৎস্য কর্মকর্তা রোজিনা খাতুন জানান যে এবছর প্রচন্ড খরায় কষ্ট করে বিলের অভায়াশ্রমে মা’মাছ গুলিকে রক্ষা করায় বিলে প্রচুর পরিমান মাছের জম্ম হয়েছে, যার ফলে এবছর এই বিলে ৫৫৫মে:টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা ধরা হয়েছে যার মূল্য প্রায় ২৫কোটি টাকার মত। গত বছর এই বিল হতে মাৎস্য আহরণের পরিমান ছিল ৫২৭মে:টন। তিনি আরোও জানান যে, সাপাহার উপজেলার জবই বিল মৎস্য প্রকল্পের ৭৯৯জন মৎস্যজীবী এই মৎস্য সম্পদ আহরণের কাজে নিয়োজিত থাকবে।
গত বছর পকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় প্রতি দিন ৪হাজার ৩শ ৮৪টাকা করে রাজস্ব কোষাগারে জমা দিয়ে বিলটি জেলা প্রসাশসক এর দপ্তর হতে লিজ গ্রহণ করে মৎস্যজীবীগন মাছ চাষ করে আসছে। গত মার্চ মাসে বিলে মাছ ধরা বন্ধ ঘোষনা করে দীর্ঘ ৬মাস পরে বৃহস্পতিবারে মৎস্য আহরণের উদ্বোধন করা হয়। জবই বিল প্রকল্পের মৎস্যজীবী দল নেতা মোন্তাজ আলী, ও বকুল হোসেন এর সাথে কথা হলে তারা জনান যে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর বিলে প্রচুর পরিমান মাছ রয়েছে, সকল মৎস্যজীবীগন এবারে অনেক লাভের মুখ দেখবেন। তাদের প্রকল্পে বর্তমান মৎস্য আহরণের ৫% হিসেবে সঞ্চিত টাকার পরিমান ৩১লক্ষ ৩৮হাজার। যা হতে প্রতিবছর মৎস্যজীবীগন ঈদ পরবে ও বিভিন্ন উৎসবে অর্থ খরচ করে থাকেন।
বর্তমান সরকারের শাসনামলে ঐতিহ্যবাহী জবই বিলটি মৎস্যজীবীদের মাঝে প্রকল্প তৈরী করে দেয়ায় সাপাহারে মৎস্যজীবীগন বেশ সুখেই রয়েছেন। ভবিষ্যতে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করলে এলকার মৎস্যজীবীগন অতীতের তুলনায় সুখে জীবন যাপন করবে তাই তারা প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য সরকার বাহাদুরের দুষ্টি কামনা করেছেন।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি