November 19, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, May 21st, 2024, 8:13 pm

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত ভিসা নীতির আওতায় নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার দুর্নীতি দমনে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে এবং এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখবে।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুর্নীতি দমনে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করছি। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই এবং তা অব্যাহত রাখব।’

আজ মঙ্গলবার (২১ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত ভিসা নীতির আওতায় নেওয়া হয়নি। নেওয়া হয়েছে ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং সন্ত্রাসবাদ, মানবপাচার ও অন্যান্য ইস্যুতে ২ দেশ একসঙ্গে কাজ করছে।

তিনি বলেন, সাবেক সেনাপ্রধানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রথমে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসকে জানানো হয়।

তবে বিষয়টি একজন সাবেক সেনাপ্রধানের সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

সোমবার ‘উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে’ জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট।

এই পদক্ষেপের ফলে আজিজ ও তার পরিবারের সদস্যরা সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য হয়ে পড়েন।

ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়, তার কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ন করতে ভূমিকা রেখেছে।

এতে আরও বলা হয়, ‘আজিজ আহমেদ তার ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে সহায়তা করে জনসাধারণের প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন।’

ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট দাবি করেছে, সামরিক চুক্তির অনুপযুক্ত প্রদান নিশ্চিত করতে আজিজ তার ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিলেন এবং তার ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে ঘুষ গ্রহণ করেছিলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এর মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসনকে শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারকে পুনর্ব্যক্ত করে।’

—–ইউএনবি