April 24, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, December 8th, 2021, 7:51 pm

সাবেক স্বামীর কাছে ৭০০ কোটি ডলার দাবি করে মামলা

অনলাইন ডেস্ক :

রাশিয়ার দ্বিতীয় শীর্ষধনী ভ্লাদিমির পোতানিন। বিচ্ছেদের জন্য এমএমসি নোরিলস্ক নিকেল পিজেএসসি’তে তার যে শেয়ার আছে, তার শতকরা ৫০ ভাগ দাবি করে বৃটেনের এক আদালতে মামলা করেছেন তার সাবেক স্ত্রী নাতালিয়া পোতানিনা। অ্যামাজন বস জেফ বেজোস এবং ধনকুবের বিল গেটসের পর এটাই সর্বোচ্চ অংকের বিচ্ছেদের মামলা। এর ফলে নাতালিয়া পোতানিনা যে পরিমাণ অর্থ দাবি করেছেন তা ৭০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। কারণ, ওই ধাতব পদার্থ উৎপাদনের প্রতিষ্ঠানে এক তৃতীয়াংশের শেয়ারের মালিক পোতানিনা। এর আগে তিনি এমন মামলা করে নিম্ন আদালতে হেরে যান। সেখান থেকে তাকে ‘বিচ্ছেদের উদ্দেশে ভ্রমণের’ অভিযোগ আনা হয়। এরপর তিনি আপিল করেছেন। বৃটেনের সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি বিবেচনা করবে কিনা সে বিষয়ে অপেক্ষায় আছেন পোতানিন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ব্লুমবার্গ। উচ্চ পর্যায়ে বিচ্ছেদ ও আইনি লড়াইয়ের জন্য লন্ডনের বিচ্ছেদ বিষয়ক আদালত জনপ্রিয় এক গন্তব্য হয়ে উঠেছে। এখানে যেসব বিচারক আছেন, তারা বিচ্ছেদের আবেদন করা দম্পতিদের মধ্যে তাদের সম্পদ সমবন্টনের রায়ই বেশি দিয়েছেন বা দিতে প্রস্তুত। বৃটেনে সবচেয়ে বড় অংকের বিচ্ছেদের ঘটনা হলো ৬৩ কোটি ১০ লাখ ডলারের। এই অর্থ স্ত্রীকে দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল বিলিয়নিয়ার ফারখাদ আখমেদোভ’কে। তবে এই অংকের এক তৃতীয়াংশের কম অর্থে নিজেদের বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে বিষয়টি সুরাহা করেছেন। পোতানিনা বলেছেন, তিনি নোরিলস্ক শেয়ারের সঙ্গে ২০১৪ সাল থেকে যেসব ডেভিডেন্ড দেয়া হয়েছে, তা সহ শতকরা ৫০ ভাগ দাবি করতে প্রস্তুত। ওই সময় থেকে তার সাবেক স্বামী প্রায় ৪৮ কোটি ৭৩ রাবল বা ৬৬০ কোটি ডলার ডেভিডেন্ড সংগ্রহ করেছেন। যার নিট মূল্য ২২৯০ কোটি ডলার। এ ছাড়া রাশিয়ায় ব্যয়বহুল প্রপার্টি, যা অটাম হাউজ হিসেবে পরিচিত, তার অর্ধেক মূল্য দাবি করেছেন পোতানিনা। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার বিচ্ছেদ ব্যবস্থায় তিনি প্রায় ৪ কোটি ডলার পেয়েছেন। এসব বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তার আইনজীবী ফ্রাঁসিস হুইজ। অন্যদিকে পোতানিনের আইনজীবীও এ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। এর আগে উচ্চ পর্যায়ের বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ান বিলিয়নিয়ার দমিত্রি রাইবোলোভলেভের। ২০১৪ সালে সুইজারল্যান্ডের একজন বিচারত তার স্ত্রী এলেনা রাইবোলোভলেভা’র পক্ষে রায় দেন। তাকে ৪৫০ কোটি ডলার পরিশোধের আদেশ দেন।