November 21, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, September 15th, 2024, 3:59 pm

সাভারে আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেতা নাঈমকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি, সাভার:

সাভারে আ.লীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। কোন কারণ ছাড়াই আওয়ামী লীগ নেতার এমন ধৃষ্টতায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সাভার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের আইচানোয়াদ্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় প্রতিকার ও বিচার চেয়ে ছাত্রদল নেতা নাঈম খান (২৫) বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন- আইচানোয়াদ্দা এলাকার মৃত মুনসুর আলীর ছেলে সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা রশীদ মোল্লা (৬৫), তার ছেলে লিটু মোল্লা (৩৮), টুটুল মোল্লা (৩৬) ও পলাশ মোল্লা (৩২)।

সাভার থানায় দেওয়া অভিযোগ সূত্র থেকে জানা যায়, বিবাদীরা এলাকার চাঁদাবাজি, লুটপাট, মাদক বিক্রিসহ স্থানীয় কিশোরগ্যাংয়ের নেতৃত্বে রয়েছেন। প্রতিবাদ করলেই বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ হুমকির সম্মুখীন হতে হয় সাধারণ মানুষদের।

ভুক্তভোগী নাঈম খান বলেন, শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে আইচানোয়াদ্দায় অবস্থিত বেনহাম ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের পিএমের কক্ষে অবস্থান করে ওই প্রতিষ্ঠানের সম্মুখে প্রতিনিয়ত বখাটে এবং কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ার বিষয় নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করি। প্রতিষ্ঠানটির সামনে প্রতিদিনই কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যে অনেকটা অতিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বখাটে ও কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয়দেরও সহযোগিতা চান প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। বখাটেদের নির্মূলের জন্য প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছি এমন খবর পেয়ে অভিযুক্তরা অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলা করে।

তিনি আরও বলেন, হামলার একপর্যায়ে রশীদ মোল্লার পকেটে থাকা ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার বাম পাঁজরে আঘাত করে মারাত্মক জখম করে। তখন বেনহাম ফার্মাসিউটিক্যাল লি.-এর কর্তৃপক্ষ আমাকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে জীবন বাঁচানোর তাগিদে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন আমাকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র- ছোরা, রামদা, লোহার রড, লাঠি এবং চাকু নিয়ে ধাওয়া করে এবং লিটু মোল্লা ও টুটুল মোল্লা লোহার রড দিয়ে পিটাতে থাকে। ফলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। আমি মারাত্মকভাবে আহত হই। ঘটনা শুনে আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে আমার বন্ধু কাউসার আহমেদ কাকন মোল্লাকেও লোহার রড ও কাঠের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। পরে আমাদের ডাকচিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন ধরেননি।

এ বিষয়ে বেনহাম ফার্মাসিউটিক্যালের প্লান্ট ম্যানেজার বিদ্যুৎ কুমার সরকার বলেন, আমি নাঈমের সঙ্গে আমার অফিসে বসে কথা বলছিলাম। হঠাৎ একজন বয়স্ক ব্যক্তি আমার রুমে প্রবেশ করে নাঈমের উপর ক্ষিপ্ত হন এবং পকেট থেকে ছুরি বের করে তাকে আক্রমণ করেন।

এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আশিক ইকবাল বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।