অনলাইন ডেস্ক :
দ্বিতীয় বারের মতো আফ্রিকা মহাদেশের বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হলেন সেনাগালের ফরোয়ার্ড সাদিও মানে। বৃহস্পতিবার মরোক্কোর রাজধানী রাবাতে তার হাতে তুলে দেয়া হয় এই পুরস্কার। এর আগে ২০১৯ সালে সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিলেন তৎকালীন এই লিভারপুল তারকা। এবার অবশ্য বায়ার্ন মিউনিখের খেলোয়াড় হিসেবে বর্সসেরার মুকুট পড়েছেন ৩০ বছর বয়সি এই ফরোয়ার্ড। তিন বছরের চুক্তিতে গত মাসে লিভারপুল ছেড়ে বায়ার্ন মিউনিখে পাড়ি জমিয়েছেন মানে। ২০১৯ সালের পর বর্ষসেরা পুরস্কারের দুটি অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে করোনা মহামারির কারণে। তবে এবার ফের সেরা পুরস্কারটি লাভ করেছেন মানে। সে দিক থেকে বলতে গেলে টানা দ্বিতীয়বারের মত এ পুরস্কার পেলেন তারকা মানে। সাবেক লিভারপুল সতীর্থ মিশরীয় তারকা মোহাম্মদ সলাহ এবং স্বদেশী আন্তর্জাতিক ও চেলসি গোল রক্ষক এডুয়ার্ড মেন্ডিকে পেছনে ফেলে বর্সসেরার পুরস্কার জয় করেছেন তিনি। গত মৌসুমে লিভারপুলের হয়ে প্রিমিয়ার লীগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অসাধারণ দক্ষতা দেখিয়েছে সালাহ- মানে জুটি। ওই মৌসুমে লিভারপুল এফএ কাপ ও ইংলিশ কাপের শিরোপা জয়ের পাশাপাশি রানার আপ হয়েছে ইংলিষ প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। পরে সালাহ অ্যানফিল্ডের সঙ্গে নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও সেই পথে হাটেননি মানে। তিনি বায়ার্ন মিউনিখে পাড়ি জমান। গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী ৩২ মিলিয়ন ইউরোতে তিনি বায়ার্নে যোগ দিলেও সেটি বেড়ে ৪১ মিলিয়নে পৌঁছাতে পারে। ২০২১/২০২২ আফ্রিকান নেশন্স কাপের ফাইনালে এবং ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের চুড়ান্ত অংশ গ্রহণের যোগ্যতা অর্জনে প্লে অফে সালাহর নেতৃত্বাধীন মিশরকে হারানোর মিশনে সেনেগালের মুল কারিগর ছিলেন মানে। ক্যামেরুনে ও সেনেগালে অনুষ্ঠিত দুটি ম্যাচই ছিল আফ্রিকা মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের ম্যাচ। এবং দুটি ম্যাচেই টাইব্রেকারে জয়লাভ করেছে তেরাঙ্গা লায়ন্সরা। দুটি টাইব্রেকারেই মানে লক্ষ্য ভেদ করলেও আফ্রিকান নেশন্সের ফাইনালে সালাহ শট নেয়ার আগেই জয় পরাজয় নির্ধারিত হয়ে যায়। আর বিশ্বকাপের প্লে অফে সালাহর শট গোলপোস্টের বাইরে চলে যায়। ডাকার থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে একটি গ্রামে জন্মগ্রহন করা মানে স্থানীয় তৃতীয় বিভাগের ক্লাব জেনারেশন ফুটে খেলার সময় মেজ ক্লাব কর্তৃপক্ষের দৃস্টিতে পড়ে যান। সালজবার্গে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়লে সাউদাম্পটন তাকে কিনে নেয়। প্রিমিয়ার লিগে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে মাত্র ১৭৬ সেকেন্ডে হ্যাট্রিকের বিরল এক রেকর্ড গড়া মানে ২০১৬ সালে লিভারপুলে যোগ দেন। সাউদাম্পটন থেকে লিভারপুলে যোগ দেয়ার পর অ্যানফিল্ডের বস জার্গেন ক্লপ তাকে একজন ‘পরিপুর্ন ফরোয়ার্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। ওই সময় ক্লপ আরো বলেন,‘ সাদিও মানে সম্পর্কে আমার একটিই সমালোচনা, আর সেটি হচ্ছে তিনিই সম্ভবত একমাত্র খেলোয়াড় যিনি অনুধাবন করতে পাছেন না তিনি কতটা বড় মাপের খেলোয়াড়।’
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা