জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে এবং সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাঙ্গন কার্যক্রম শাখার সার্বিক সহযোগিতায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ বিষয়ক সেমিনার মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের সভা কক্ষেঅনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, ভোক্তা-অধিকারসহ অন্যান্য সকল অধিকার আদায়ে শিক্ষার্থীসহ সমাজের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এ আইণ সকল ভোক্তাকে তার অধিকার আদায় করে দিতে অঙ্গিকারাবদ্ধ। তাই এই আইণ প্রয়োগে সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত বিভিন্ন কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি আরো বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম স্তম্ভ হচ্ছে স্মার্ট সিটিজেন। আর স্মার্ট সিটিজেন হওয়ার জন্য স্মার্ট ভোক্তা হওয়া একান্ত আবশ্যক। তাহলেই একটি স্মার্ট সোসাইটি তৈরি হওয়ার পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাঙ্গন কার্যক্রমের পরিচালক ড. তিলক চন্দ্র নাথের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ ফখরুল ইসলাম।
সেমিনারের শুরুতেই মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিডি মোঃ ফখরুল ইসলাম। তিনি ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং অধিদপ্তরের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীগণকে সম্যক ধারণা প্রদান করেন। তিনি আইনটির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে বলেন, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ একটি অনন্য আইন, যেখানে ভোক্তারা প্রতিকারের পাশাপাশি অভিযোগ প্রমাণের প্রেক্ষিতে জরিমানার ২৫% প্রণোদনা হিসেবে তাৎক্ষণিক পেয়ে থাকেন। তাই ভোক্তাদের অধিদপ্তরের অপেক্ষায় না থেকে স্বতস্ফূর্তভাবে সচেতন হওয়ার আহবান জানান তিনি। সচেতন ভোক্তা তৈরি হলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা পূরণের মাধ্যমে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠবে বলেও তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এছাড়াও তিনি মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব প্রদান করেন।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম মাসুদের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন কাউন্সিলের আহ্বায়ক ড. মেহেদী হাসান খান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ মোস্তফা সামছুজ্জামান, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ মনিরুল ইসলাম, মাইক্রো বায়োলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদ, এপিডেমিওলজি ও পাবলিক হেল্থ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. প্রফেসর ড. সুমন পাল ওজেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সদস্য প্রফেসর ড. আঞ্জুমান আরা। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থী এবং জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সিলেট জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এতে অংশগ্রহণ করেন। সবশেষে অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শ্যামল পুরকায়স্থ সেমিনারটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করায় অতিথিবৃন্দ, অংশগ্রহণকারীগণ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
আরও পড়ুন
এইচএসসির ফল প্রকাশ শিগগিরই: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের জন্য সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা রাখা হবে: বেরোবি উপাচার্য
তিন মাস পর ক্লাসে ফিরলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা