নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রী সুস্মিতা বাড়ৈকে ‘সিট কেন বাতিল করা হবে না’ এ মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কলেজের শহীদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস প্রশাসন। গত ১৩ তারিখ ছাত্রীনিবাসের তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক নাজমুন নাহার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাঁকে রোববার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১২ টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। তবে এখনও চিঠির জবাব পাননি জানিয়ে রোববার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে নাজমুন নাহার বলেন, ‘আমরা ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখেছি। দারোয়ানের সঙ্গে কথা বলেছি। বিভিন্ন অনিয়মের কারণে শিক্ষার্থীদের আমরা শোকজ করে থাকি। এটাও তারই অংশ। তবে তিনি এখন পর্যন্ত আমাদের জবাব দেননি। তাঁর জবাব অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ সুস্মিতা বাড়ৈ ইডেন কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। তিনি হলের ২১৪ নং রুমে থাকেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, ‘গত ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি জোরপূর্বক কলেজের গেট খুলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সাংবাদিকদের কলেজে প্রবেশ করিয়েছেন। ২৫ সেপ্টেম্বর হোস্টেল থেকে ছাত্রীদের বের হতে বাঁধা দিয়েছেন। তিনি হোস্টেলের দারোয়ানের কাছ থেকে চাবি নিয়ে ফেলে দিয়েছেন। ছাত্রীদের মোবাইল কেড়ে নিয়েছেন।’ চিঠিতে সুস্মিতাকে বলা হয়, ‘গত ২৪ সেপ্টেম্বর ও ২৫ সেপ্টেম্বর সংঘটিত অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার তদন্তে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপনার সিট (আসন) কেন বাতিল করা হবে না, তার সন্তোষজনক লিখিত জবাব ১৬ অক্টোবর (রোববার) দুপুর ১২টার মধ্যে হল কর্তৃপক্ষের কাছে প্রদানের নির্দেশ করা হলো।’ এ বিষয়ে সুস্মিতা বাড়ৈকে কয়েক বার ফোন দেওয়া হলে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। চাঁদাবাজি, অনিয়ম ও সিট বাণিজ্য নিয়ে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থগিত কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার অনুসারীদের মারধর, হেনস্তার শিকার হন সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস। মারধর ও হেনস্তাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় ক্যাম্পাস। উত্তপ্ত পরিস্থিতির একপর্যায়ে দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন হয়। ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তামান্না জেসমিন (রিভা), রাজিয়া সুলতানাসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে কমিটি স্থগিত ঘোষণা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে সুস্মিতা বাড়ৈসহ ১২ জন নেত্রীকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন বহিষ্কৃতরা। পরে আওয়ামী লীগ নেতাদের আশ্বাসে তারা অনশন থেকে সরে আসেন। এসব ঘটনায় দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলা দিয়েছে।
আরও পড়ুন
এইচএসসির ফল প্রকাশ শিগগিরই: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের জন্য সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা রাখা হবে: বেরোবি উপাচার্য
তিন মাস পর ক্লাসে ফিরলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা