মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় কক্সবাজারের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাস ও পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
যাবজ্জীবন প্রাপ্ত ছয়জন হলেন- কনস্টেবল সাগর দেব, উপ-পরিদর্শক নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, নুরুল আমিন, মো. নিজামউদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল ১৫ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে পাবলিক প্রসিকিউটর ফরিদুল আলম জানান। আদালত অবশ্য অন্য সাত আসামিকে খালাস দিয়েছে।
দুপুর ২টায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে ১৫ আসামিকে আদালতে আনা হয়। ১৫ আসামির মধ্যে প্রদীপ, সাগর দেব ও রুবেল ছাড়া ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
রায় ঘোষণার আগে কক্সবাজার শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে গত বছর ২৭ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে মামলাটির বিচারকাজ শুরু হয় এবং চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি সর্বশেষ দুই আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবীদের যুক্তি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে বিচারকাজ শেষ হয়।
পরে বিচারক ৩১ জানুয়ারি রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়ার শামলাপুরে এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা করেছিল।
ঘটনার পাঁচ দিন পর ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে র্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। তদন্ত শেষে র্যাব ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ